দেশ পরিচিতি
নাইজার
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র নাইজার। দেশটির শতকরা ৮০ ভাগ এলাকাজুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। পুরো নাম দ্য রিপাবলিক অব নাইজার। নাইজারের পলীয় যুগের সন্ধান পাওয়া গেছে। উপনিবেশকারীদের আগমনের আগে এখানে অনেক রাজত্বের পত্তন হয়েছিল। ইউরোপীয়রা সর্বপ্রথম আসে ১৮ শতকের শেষদিকে। ১৮৮৩ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত দেশটি ফ্রান্সের দখলে ছিল। ১৯০১ সালে এটা একটা সামরিক এলাকায় পরিণত হয় এবং ১৯০৪ সালে ফরাসি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম আফ্রিকার অংশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। নাইজার ১৯৬০ সালের আগস্টে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭৪ সালের ১৫ এপ্রিল নাইজারের প্রথম প্রেসিডেন্ট হামানি দিওরি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের নেতা লে. মিনি কাউচি সংবিধান বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি সংসদ ভেঙে দেন এবং রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে নাইজারে প্রথম অবাধ নির্বাচন হয়। এটি ১৬০০০ ফুট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০০০ ফুট পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। নাইজারের উত্তরে আলজেরিয়া ও লিবিয়া, দক্ষিণে নাইজেরিয়া ও বেনিন, পূর্বে চাঁদ এবং পশ্চিমে বুরকিনা ফাসো ও মালি। দেশটির আয়তন প্রায় ১২ লাখ ৬৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ২২তম বৃহত্তম দেশ। নাইজারে ৭টি বিভাগ ও ৩৬টি ডিপার্টমেন্ট আছে। দেশটির উচ্চতম স্থান হচ্ছে মাউন্ট গ্রিবাউন, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৩৭৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং নিম্নতম স্থান হচ্ছে নাইজার নদীর সীমান্তে ও সেনেগাল নদীর শুরুতে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৯০ ফুট উঁচু। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে নাইজারের দক্ষিণাঞ্চল কৃষিসমৃদ্ধ। এখানে তীব্র পানি সংকট রয়েছে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে নাইজার নদী থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৫৪ মিলিমিটার।
"