মোজাম্মেল সুমন
টিপটিপানি বিষ্টি
বর্ষাকালে আকাশে চিঠি আসে মেঘের খামে,
দিনদুপুরে হঠাৎ করে টিপটিপানি বিষ্টি নামে।
হীরার মতো বিষ্টি রঙধনুর রঙের খেলায় মাতে,
প্রজাপতি গাছের পাতায় বসে মেলা পাতে।
মেঘের গর্জনে কলিজার ভিতরে পানি শুকায়,
কভু মেঘের আড়ালে সূর্য্যমিামা মুখটি লুকায়।
একবার বিষ্টি শুরু হলে খবর থাকে না থামার,
কাদায় পিছলে বেহালদশা হয় খোকাখুকির জামা।
টিপটিপানি বিষ্টিতে হয় ফড়িংরাজার টুঁটি লাজ,
অল্প পানিতে লাফায় রুপালি রঙের পুঁটিমাছ।
গাছের ডালে বসে কা কা ডাকে কাকটি ভেজা গায়,
হঠাৎ কুকুরবিড়ালও বিষ্টিতে ভিজে দৌড়ে যায়।
পুকুরপাড়ে লকলকে কলমিশাক বাতাসে দোলে,
থেকে থেকে ব্যাঙেরা ভীষণ মকমকি ডাক তোলে।
মাঝেমধ্যে পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়ায় সাপ,
তা খোকাখুকির ভাষায় কত্ত বড় সাপ, বাপরে বাপ!
নানার মুখে আজগুবি গল্প শুনে নাতি হাসে,
বাড়ির বাইরে পুকুরে সাঁতার কাটে পাতিহাঁসে।
সবুজ নরম ঘাস ভেজে টিপটিপানি বিষ্টি পড়ায়,
চারিদিকে কদমগাছের সুগন্ধি সুবাস ছড়ায়।
গাছপালা ও পাখি বিষ্টির পানিতে করে সিনান,
বুঝতে পারি ঋতুর সঙ্গে প্রকৃতির কী টান!
যদিও বিরক্তির একটানা টিপটিপানি বিষ্টি
তবুও বর্ষাকাল সবার কাছে লাগে খুব মিষ্টি।
"