নাসির ফরহাদ

  ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯

জাদুর কলস

মাটির ঢিপেতে উইপোকার বাসা। কিলবিল করে একসঙ্গে বসবাস করা তাদের হ্যাবিট। তারা মাটি আঁকড়ে বাঁচাটা বেটার মনে করে। ওদের আছে সরদার। আছে সিপাহি সৈন্য দলবল। ওদের সরদার একদিন বলে উঠল আমদের ছোট্ট ঢিপেতে থাকাটা নিরাপদ নয়। একটু মেঘের গর্জন দিলেই, বৃষ্টি এসে মাটিগুলো ভিজে সরোবর করে দেয়। বৃষ্টিজলে মাটি ফুলে ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে। আমাদের ঢিপেটাকে একটু বড় করে নিচে জায়গা করতে হবে। নতুবা বসবাস করা খুব মুশকিল। সরদারের কথাগুলো সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনলো। তার পরÑ

সরদারের কথায় সকলে সাই দিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো ঠিক বলেছেন ঠিক বলেছেন। সরদারের চয়েজ মতো কাজ করতে সকলে আনন্দবোধ করে। সরদারের কথামতো তারা মাটি খননের কাজে লেগে গেল। একহাত নিচে খুঁড়তে খুঁড়তে এক পুঁচকে উই লাফিয়ে উঠলো। দেখুন সরদার দেখুন। এখনে কি যেন পোতা আছে! সরদার তার কথাই সাই দিল না। পুঁচকেটা না একটু বেশি লাফালাফি করে। তার কথায় কান না দিয়ে বলল কাজে মন দে। ওমনি আরেকটা উইপোকা চেঁচিয়ে উঠে বলে উঠল একটা বিশাল জিনিস পেয়েছি সরদার। সরদার রেগে বলল মাটির নিচে কি গুপ্তধন আছে? বোকার মতো বলো না তো! খুঁড়তে খুঁড়তে যখন সকলের কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার হলো তখন সরদার এসে দেখল একটা মেটো কলস সুন্দরভাবে বসানো। কলসের মধ্যে কে যেন আওয়াজ করলো সরদার। কে আওয়াজ করবেÑ মানে? ভিতরে কি জ্বিন টিন আছে! কি জানি! বলে চুপ করলো। কলসটি বলে উঠলো আমি জাদুর কলস। আমাকে সবাই স্পর্শ করো না। সরদার- কেন? কলসটি বলে উঠল যারা পড়ালেখা করেনি তারা আমাকে ছুঁয়ে দেখতে পারবে না। আমি শুধু ভালোদের কাছে যেতে পারি। তাদের আমি বুদ্ধি দেই। সরদার লজ্জা পেল। কারণ সে পড়ালেখা করেনি। পুঁচকে উঁইটা এসে বলল আমি পড়ালেখা জানি। সরদারের হতচকিত চোখ দুটো শিমুল গাছে তুলে বলল তুই কবে স্কুলে পড়লি? স্কুলে পড়েছি সরদার। যাদুর কলসটি বলল যায় হোক তোমাকে পরীক্ষা করিÑ বলতো গুড মানে কি? আরে এটাতো খুব সহজ! গুড মানে ভালো। বাহ! ভেরিগুড। বেশতো। এতোটুকু হয়ে তুমিতো বেশ শিখেছো! কে শিখিয়েছে তোমায়? আমি ঝিঁ ঝিঁ পোকার কাছে পড়ালেখা করি। তাই না কি! এসো কাছে, বলে কাছে ডাকল। ছোঁয়া মাত্রই কলসটির মুখ খুলে গেল। ওমা! একি। শুধু সোনা আর সোনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close