জীবনযাপন ডেস্ক

  ২২ মে, ২০২০

করোনা প্রতিরোধে যে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে এখন পর্যন্ত কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই রোগ প্রতিরোধের জন্য পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ। এই ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরা ও ভালোভাবে হাত ধোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে মাস্ক ব্যবহার করলেও করোনা প্রতিরোধে কী ধরনের মাস্ক পরা ভালো তা আমরা অনেকেই জানি না। আসুন জেনে নিই করোনা প্রতিরোধে যে মাস্কটি ব্যবহার করবেন-

১. ডিসপোজেবল মাস্ক, যাকে সার্জিক্যাল ফেস মাস্কও বলা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরাও এটি ব্যবহার করেন। এই মাস্ক চিকিৎসক ও রোগী উভয়কেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এই মাস্ক বাতাসের ছোট ছোট কণা আটকাতে পারে না। আর ৩-৮ ঘণ্টার বেশি পরা উচিত নয়। এটি ভয়ংকর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে না।

২. ঘ৯৫ রেসিপিরেটর মাস্ক অস্ত্রোপচারের মাস্কের চেয়েও বেশি কার্যকর। কারণ এটি “ইনসাইড টু আইটসাইড” অর্থাৎ বাইরে থেকে ভেতরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। এই মাস্কটি করোনা, H1W1 এবং সার্সের মতো ভাইরাসের সংক্রমণে সহায়তা করে।

২. করোনাভাইরাসের থেকে সুরক্ষা পেতে ঘ৯৫ রেসিপিরেটরের ব্যবহার বেশি কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কারণ এই মাস্কগুলো ভালো ফিট হয় এবং প্রায় ০.৩ মাইক্রোনের ব্যাসযুক্ত ছোট কণাগুলোকে ফিল্টার করে দেয়। এটি বাতাসে উপস্থিত ছোট কণার ৯৫ শতাংশকে অবরুদ্ধ করে।

তবে করোনাভাইরাসটি প্রায় ০.১২ মাইক্রোন ব্যাস পরিমাপ করে। তাই এটি সংক্রমণ রোধে অকার্যকর হতে পারে বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

৩. FFP1 মাস্ক মানের দিক থেকে ভালো নয়। সাধারণত এতে পরিস্রাবণ ৮০ শতাংশ এবং ছিদ্র ২০ শতাংশ হয়। এটি বাড়িতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. FFP2 মাস্ক FFP1-এর তুলনায় বেশি ভালো। এতে পরিস্রাবণ ৯৪ শতাংশ এবং ছিদ্র ৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়। বর্তমানে এই মাস্কগুলো করোনাভাইরাস এড়াতে পরা হচ্ছে।

৫. FFP3 সর্বোচ্চ মানের মাস্ক। যার মধ্যে পরিস্রাবণ সাধারণত ৯৯ শতাংশ এবং ছিদ্র প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত হয়। করোনা, সার্স এবং অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিদেশে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে মাস্কটি কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে দেবে না।

তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close