জীবনযাপন ডেস্ক

  ১৪ মে, ২০২০

করোনায় গর্ভবতী মা ও সন্তানের সুরক্ষায় যা করণীয়

করোনা সংক্রমণের এ সময় একজন গর্ভবতী নারী কীভাবে নিজেদের এবং তাদের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন তা নিয়ে ‘কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে গর্ভাবস্থার পরিচর্যা’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এতে গর্ভবতী নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় দেহ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসার কারণে গর্ভবতী নারীরা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মাসগুলোতে খারাপভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। যেমন-

১. কারোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) লক্ষণ রয়েছে এমন কারো সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

২. সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন।

৩.সম্ভব হলে বাড়িতে থেকে কাজ করুন।

৪. পাবলিক প্লেস বা লোকালয়, বিশেষ করে বন্ধ বা দেয়ালঘেরা স্থানগুলোতে ছোট-বড় সব ধরনের জমায়েত পরিহার করুন।

৫. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ পরিহার করুন।

৬. ধাত্রী, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবাদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন, মেসেজ বা অনলাইন সেবা ব্যবহার করুন।

৭. অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য সাবান ও পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া, ঘরে বার বার স্পর্শ করা হয় এমন স্থান, জিনিসপত্র, নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

৮. কোভিড-১৯ এর সঙ্গে মিল আছে এমন কোনো লক্ষণ নিজের মধ্যে দেখা যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন। সমস্যা মনে হলে শুরুতেই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সেবা গ্রহণ করুন।

ইউনসেফের ওই প্রতিবেদনে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর শিশুর সুরক্ষার জন্য প্রসূতি মাকে সহজ থাকার চেষ্টার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রসূতি মায়েদের শুধু পরিবারের সঙ্গেই থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে, এই সময় প্রসূতির মায়েদের যদি অন্য সন্তান থাকে তাহলে তারা যাতে অন্য শিশুদের সঙ্গে না মেশে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়মিত হাত ধুতে ও নিজেদের যতœ নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close