জীবনযাপন ডেস্ক
ত্বক ও চুলের যত্নে কর্পূর
আমাদের দেশে কর্পূরের ব্যবহার বহু প্রাচীন। একসময় আমাদের বাড়িঘরে রীতি ছিল পানীয়জলে কর্পূর মিশিয়ে রাখা। এতে জল ঠান্ডা থাকত। কর্পূরের প্রভাবে জলের স্বাদ-গন্ধেও পরিবর্তন আসত। তবে কোনো কোনো শারীরিক সমস্যায়ও কর্পূর নিরাময়ের কাজ করে। আসুন জেনে নিই যেসব সমস্যায় কর্পূর ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ব্যথা ও ফোলা কমাতে : আঘাত পাওয়া জায়গা অনেক সময় লাল হয়ে ফুলে থাকে। সেখানে কর্পূর মালিশ করলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
চুলকানি ও র্যাশে আরাম : স্পর্শকাতর ত্বকের কারণে অনেকেই চুলকানি ও র্যাশের সমস্যায় ভোগেন। সে ক্ষেত্রেও কর্পূর বেশ উপকারী। কর্পূরের তেল পানিতে মিশিয়ে তারপর হালকা করে ক্ষতস্থানে মালিশ করলে তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যাবে।
ছত্রাকজনিত সমস্যায় : অনেকেরই নখে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হয়। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে এ ক্ষেত্রে কর্পূর খুব কার্যকরী।
অ্যাকজিমা মোকাবিলায় : শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক, দুই ক্ষেত্রেই অ্যাকজিমায় তীব্র প্রদাহ ও যন্ত্রণা হয়। অ্যাকজিমার সমস্যাতেও কর্পূর খুব কার্যকরী। অ্যাকজিমার অয়েনমেন্ট ও লোশনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কর্পূর।
অনিদ্রা দূর করতে : কর্পূরের গন্ধ ঘুম ডেকে আনতে সাহায্য করে। যারা অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, তারা বালিশে কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল দিয়ে দেখতে পারেন। ঘুমের মাসি, ঘুমের পিসি তাড়াতাড়ি চলেও আসতে পারে।
সর্দি, কাশি ও গলার সংক্রমণে : সর্দি হলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে বুকে, পিঠে ও গলায় কর্পূরের তেল মালিশ করে দেখতে পারেন। আরাম পাবেন।
চুলের যত্নে : মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে যে কারো কাছেই মাথায় কম চুল থাকা দুঃস্বপ্ন। অনেক কারণেই নতুন চুল গজায় না। বাজারচলতি রাসায়নিকের বদলে কর্পূরের তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যে তেল মাখেন, তার সঙ্গে কর্পূরের তেল মিশিয়ে ভালো করে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। উপকার বৈ অপকার হবে না।
উকুন বিনাশে : বাচ্চারা হামেশাই উকুনের সমস্যায় কষ্ট পায়। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর গুঁড়ো মিশিয়ে বাচ্চার মাথায় ভালো করে মালিশ করুন। তারপর শ্যাম্পু করিয়ে দিন। সব থেকে ভালো হয়, যদি কর্পূর মেশানো তেল রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাখা যায়। কর্পূরের গন্ধে উকুন মরে যায়। তথ্য ও ছবি সংগৃহীত
"