জীবনযাপন ডেস্ক

  ৩১ মে, ২০১৯

ঈদের সাজ

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। আর এই উৎসব আনন্দে হাজারটা কাজের মাঝেও নিজেকে একটু পরিপাটি আর আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে রাখতে মন সবারই চায়। এজন্য দরকার একটু বাড়তি সচেতনতা। ঈদের দিনের পোশাকটি কেমন হবে। সেই সঙ্গে সাজবেনইবা কেমন। দিনের পোশাকের সঙ্গে রাতের পোশাক ও সাজের বৈচিত্র্য কেমন হবে। ঈদের পরদিন কী পরবেন। সেদিন সাজবেনইবা কেমন। এতসব জল্পনা-কল্পনা ভিড় করে মনের মাঝে। ঈদের দিনে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসলটা সেরে নিলে সারা দিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। এরপর নতুন পোশাক পরে দিনের শুরু।

ঈদের দিনের পোশাক

ঈদের দিন একটু আরামদায়ক পোশাক পরিধান করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে হালকা সুতি হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, জিন্স যেটাই হোক তার সঙ্গে ম্যাচিং করে পরা যায় দুটি চুড়ি, পায়ে দুই ফিতার চটি। সবার মধ্যেই খুশি খুশি ভাবটা থাকে, তাই সাজগোজের ব্যাপারটিও এ সময় বেশি প্রাধান্য পায়। তবে এ দিন শিফন, জর্জেট, সুতি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি কাপড়গুলোও পরতে পারেন। কারণ এগুলো হালকা হওয়ায় খুব আরামদায়ক হবে।

সুন্দর লুকে নিজেকে

ঈদের দিনে এত কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হলে একটু সচেতন হতেই হয়। আগে ঈদের দিনে সাজটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর ও রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।

সকালের সাজ

সকালে একটু-আধটু কাজের চাপ থাকে, তাই চলাফেরা করতে সহজ হয় এমন কোনো পোশাক বেছে নিন। সকালের আবহাওয়ার সাঙ্গে মানানসই কোনো হালকা কালারের পোশাক পরতে পারেন। মেকআপের শুরুতে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর টোনার ও ময়েশ্চারাজার লাগিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে পাউডার ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। সকাল বেলায় ভারী মেকআপ না নেওয়ায় ভালো। এ সময় চোখে কাজল পরতে চাইলে কালো না পরে ব্রাউন কালার বেছে নিতে পারেন।

এ ছাড়া সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কেমন সাজ নেবেন এ প্রসঙ্গে বিউটি এক্সপার্ট শারমিন আখতার বলেন, সকালে সুতির সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজটা একেবারে শুভ্র ও ন্যাচারাল হবে। চোখে কাজল এবং ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপিস্টিক লাগিয়ে নিলে চেহারায় সকালের শুভ্রতার একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। চুলটা এ সময় বাঁধা থাকবে।

দুপুরের সাজ

ঈদের দিন দুপুরে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর দিতে পারেন লিপগ্লোস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে শ্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গহনা পরুন। দুপুরে আইশ্যাডোর রং সঙ্গে ম্যাচ করতে পারেন, আবার কন্ট্র্যাস্টও করতে পারেন। চোখের পুরোটা পাতায় বেজ কালার করে নিন। তারপর অন্য কালারগুলো লাগান। চোখের লেশের কোলঘেঁষে পেনসিল আইলাইনারের টান আবার আউটার কর্নারটাও একটু টেনে দিতে পারেন। গালে আলতো করে একটু ব্লাশন ছুঁইয়ে নিন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপিস্টিক লাগিয়ে নিন।

রাতের সাজ

রাতে আপনি আপনার ইচ্ছামতো সাজুন। বাইরে গেলে শাড়ি পরুন। বাঙালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে মেকাপ বসিয়ে নিন। চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রঙের স্যাডো ব্যবহার করুন। রাতের সাজে শাড়ি খুব বেশি গর্জিয়াস হলে মেকাপটা পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল হবে। চোখের ওপরে অ্যাকোয়া ব্লু এবং গ্রে আইশ্যাডো একসঙ্গে মিলিয়ে লাগান। চোখের ইনার কর্নারে গোল্ড বা শিমারি পিঙ্ক আইশ্যাডো স্মাজ করে লাগিয়ে নিন। তবে ব্লাশনের রং বেশি উজ্জ্বল না হওয়াই ভালো। হালকা রঙে লিপিস্টিক রাতের সাজের জন্য বেশি মানানসই হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close