সম্মাননা নিঃসন্দেহে অত্যধিক আনন্দের
দেশের জনপ্রিয় র্যাম্প মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। সম্প্র্রতি কলকাতায় ‘দুই বাংলার অনন্য সন্ধ্যা’ নামে দুটি অনুষ্ঠান করে এলেন। সেখানে কোরিওগ্রাফির জন্য তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। নিজের কাজ এবং বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তুহিন খান নিহাল
কলকাতার শো নিয়ে জানতে চাই-
‘দুই বাংলার অনন্য সন্ধ্যা’ শিরোনামে দুটি শো করেছি। গত মাসের ১ ও ২২ জানুয়ারি কলকাতায় এ শো দুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমাদের পাশাপাশি কলকাতার মডেল, ডান্সার ও সংগীতশিল্পীরাও অংশ নেন। আমি এ আয়োজনে ফ্যাশন কোরিওগ্রাফি করেছি। আয়োজক ও উপস্থিত অতিথিরা আমাদের মডেলদের পারফর্ম পছন্দ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমাদের দেশের শিল্পীরা বাংলাদেশের পতাকা হাতে, দেশের গানের সঙ্গে নৃত্যে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে কলকাতার দর্শকরা আমাদের শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর আয়োজনে করতালি দিয়ে তাদের সাধুবাদ জানায়। এ ছাড়া ‘দুই বাংলার অনন্য সন্ধ্যায়’ কোরিওগ্রাফির জন্য আমাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ‘এ সম্মাননা নিঃসন্দেহে অত্যধিক আনন্দের’।
দেশের বাইরে শো করার অভিজ্ঞতাÑ
আমি নিয়মিত দেশে কাজ করছি। তবে দেশের বাইরে কাজ করা গর্বের বিষয়। এর আগেও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি শো করেছি। বাইরে কাজ করলে দেশের সংস্কৃতি আদান-প্রদান হয়। আমাদের সম্পর্কে অন্যরা জানতে পারে। তেমনি আমরাও অন্য দেশের মডেলদের সম্পর্কে ধারণা লাভ করি। পাশাপাশি পরিচিতি লাভের একটি সুযোগ তৈরি হয়। যে কারণে এটা আমার কাছে পজেটিভ মনে হয়। আমার মতে, এমন শো আরো হওয়া উচিত। এতে আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অন্য দেশের কাছে ধারণা থাকবে।
কলকাতার সঙ্গে আমাদের র্যাম্পের পার্থক্য-
আমার কাছে তেমন পার্থক্য মনে হয়নি। তবে আমাদের সঙ্গে তাদের কোরিওগ্রাফির ভাষায় একটু পার্থক্য আছে। আমাদের আর কলকাতার মডেলদের পোশাক এবং স্টাইল একই রকম মনে হয়েছে।
বর্তমান ব্যস্ততা-
র?্যাম্পের একাধিক প্রোগ্রাম, ফটোশুট করছি। সময় দিচ্ছি আমার নিজের স্কুল ‘রানওয়ে বাই টুম্পা’তে।
অবসর সময়-
অবসরে ঘরেই থাকি। ‘ঘুরতে ভালো লাগলেও অবসরে আমি খুব কম ঘোরাঘুরি করি। কারণ কাজের প্রয়োজনে এমনিতেই অনেক বেশি ঘোরাঘুরি হয়ে যায়। আর তাতেই বেড়ানোর শখ মেটে। তবে অবসর খুব বেশি পাই না আর পেলেও তা সব সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই বেশি ভালো লাগে। বাসায় থাকি বিভিন্ন টিভি
প্রোগ্রাম দেখি এই তো।
নতুনদের পরামর্শ-
নিজের কর্মক্ষেত্রটাকে আগে থেকে জেনে-বুঝে তবেই মডেলিংয়ে আসা উচিত। তাহলে কাজের প্রতি ভালোবাসাটা থাকবে। আর নিজেদের কখনো দুর্বল ভাবা উচিত নয়। একাগ্রতা, নিষ্ঠা আর দৃঢ়প্রত্যয় থাকলে সবার পক্ষেই সফলতার শিখরে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি। হয়তো একটু সময় লাগবে, তবে সাফল্য আসবেই।
"