তুহিন খান নিহাল

  ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

মিডিয়া জগতে মডেলরাই এগিয়ে:টুম্পা

সালটা ১৯৯৭। তখন আমার বাবা-মা বেঁচে নেই। আমার অভিভাবক তখন ভাইয়েরা। চাচার এক বন্ধু আমাকে দেখে র‌্যাম্পে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। নিজের শুরুর গল্পটা এভাবেই বললেন জনপ্রিয় মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। নিজের শুরুর দিকটার কথা জানিয়ে টুম্পা বলেন, আমি তখন স্কুলে পড়ি। চাচার সেই বন্ধুটি মডেলিং করতেন। বাঙালি মেয়েদের চেয়ে তুলনামূলক একটু বেশিই লম্বা ছিলাম। চাচার সেই বন্ধুর ধারণা ছিল আমি র‌্যাম্পে ভালো করব। কিন্তু তখন পরিবারের কেউ রাজি হলেন না। তবে একটা সময় এসে ভাইয়েরা রাজি হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালের দিকে অনামিকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে প্রথম র‌্যাম্পে কাজ করি। বলতে গেলে, সেই থেকেই শুরু।

নিজের বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে টুম্পা বলেন, কিছু দিন আগেই সিলেটে গিয়েছি শো-স্টপার হিসেবে। এ বছরেই দুবার গেলাম সেখানে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোগ্রামে জাজমেন্ট, গ্রুমিং, টিভি শো, কোরিওগ্রাফি ও নিজের গ্রুমিং প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ততা।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মডেলিং থেকে প্রাপ্তি নিয়ে টুম্পা বলেন, একটা সময়ে পরিচিতজনদের কাছ থেকেই শুনেছি টুম্পা এসব কি করে! মডেলদের কেউ চেনে না। অন্যকিছু কর। কিন্তু আামি মডেলিং নিয়েই ছিলাম। এবং আজকে মিডিয়া জগতে মডেলরাই এগিয়ে। এই জায়গাটাই দেখতে চেয়েছিলাম। এবং পেয়েছি। এটাই মনে হয় আমার জীবনের অনেক বড় সার্থকতা।

বর্তমান দেশের মডেলিংয়ের অবস্থা নিয়ে টুম্পা বলেন, আমাদের দেশে মডেলিংয়ে কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। ভালো ভালো শো হচ্ছে। আগে আমরা একটা শোর জন্য বসে থাকতাম। কখন বড় শো হবে। সেটা দেখবো, পোশাক, ডিজাইন দেখবো। কিন্তু এখন সেটা মিস করি। তবে বর্তমানে দেশের মডেলিংয়ে প্রধান সমস্যা হলো এজেন্সি। উন্নত দেশগুলোতে মডেলরা এজেন্সির হয়ে কাজ করে। এবং তারা নিয়মিত মডেলদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করে। কাজ না থাকলেও তারা বেতন ভাতা পায় এজেন্সি থেকে। মডেলরা এজেন্সির মাধ্যমে কাজ পায়। আমাদের দেশে কোনো এজেন্সি নেই। এখানকার মডেলরা নিজ উদ্যোগে কাজ করে এবং কাজ পেয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদেরও একটু দোষ রয়েছে। আমরা ভাবি এজেন্সির মাধ্যমে কেন যাব। ডাইরেক্ট গেলে তো আমি টাকা বেশি পাব। এছাড়াও বাইরের দেশে কোরিওগ্রাফারের কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র ডিরেকশন দেওয়া। পাশপাশি তার দুজন সহকারী থাকবেন যারা স্টেজে মডেল পাঠাবেন। কিন্তু বাংলাদেশে যা হয় একটা কোরিওগ্রাফারকেই সব দেখতে হয়। মিউজিক, মেকাপ, লাইটটিং ঠিক জায়গায় হচ্ছে কিনা, কোথায় লাইটিং পড়া উচিত সব দেখতে হয়। এটা বাইরের দেশে একদমই হয় না। তাদের প্রত্যেকটি সেক্টরের জন্য আলাদা পারদর্শী জনবল থাকে।

নতুন যারা র‌্যাম্পে আগ্রহী তাদের নিয়ে টুম্পা বলেন, র‌্যাম্পের ক্ষেত্রে জরুরি বিষয় হল হাইট। যারা নতুন আসতে চায় তাদের ক্ষেত্রে বলব তারা যেন অবশ্যই পড়াশুনা করে জেনে বুঝে আসে। নিজের কর্মক্ষেত্রটাকে আগে থেকে জেনে বুঝে তবেই আসা উচিত। তাহলে কাজের প্রতি ভালোবাসাটা থাকবে।

বিয়ে করছেন কবে? এমন প্রশ্নে টুম্পা বলেন, আল্লাহ যদি বিয়ের ফুল কপালে লিখে থাকে, অবশ্যই হবে। এখনো আমাদের যৌথ পরিবার যার কারণে বাসায় যাওয়ার পরও মনে হয় না আমি সিঙ্গেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close