বাংলার প্রকৃতিতে এখন শরৎ। বলা হয় শরতেই শীতের জন্ম। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তনের ধকল আমাদেরকেও সইতে হচ্ছে। ফলে শীত দূরে থাক বরং ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই পোশাক-আশাকসহ সব কিছুতেই প্রশান্তির পরশ পেতে চায় মানুষ। কিন্তু সব কিছুর পরও মানুষকে ঘর-গেরস্থালি সামলে অফিস করতে হয়। আর অফিস মানেই তো একদিকে কাজের চাপ, অন্যদিকে ফর্মালিটি বা সামাজিকতা রক্ষা করার জন্য ফরমাল ড্রেস পরিধান করা। তো এই গরমে আমাদের সাজগোজ, পোশাক-আশাক কেমন হবে, সেটার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রেড বিউটি পার্লারের সিইও এবং বিউটিশিয়ান আফরোজা কামাল

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

প্রশান্তির সাজ পোশাক

তিনি বলেন, ‘অফিসে আমরা সবসময় প্রফেশনাল ড্রেস ব্যবহার করে থাকি। অফিসে এই গরমের মধ্যেও আমাদের থাকতে হয় ফিটফাট। ৮-৯ ঘণ্টার কাজের চাপের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অফিসের অনেক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। আর তাই শীত গরম উপেক্ষা করেও আমরা চেষ্টা করি অফিসের নিয়ম-কানুন এবং অন্য সব আনুষঙ্গিকতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য। আর তাই অফিস ড্রেস নির্বাচন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের পোশাকগুলো যেন সুতি বা ভয়েলের মধ্যে হয়। বিশেষ করে মেয়েরা অফিসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ আর ওয়েস্টার্ন ড্রেস যা-ই পরুন না কেন, সেটা হালকা রঙের হলে ভালো হয়। সে ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে হালকা সবুজ, লেমন, অফ হোয়াইট, সাদা ইত্যাদি রং। এই গরমে হালকা রং দেখতে যেমন ভালো লাগবে ঠিক তেমনি কাজ করতেও সুবিধা হবে। সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে যে কোনো গাঢ় রঙের হালকা শেড ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে আর ওয়েস্টার্ন ড্রেসের ক্ষেত্রে কালো, নীল ইত্যাদি রং অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আর ড্রেসের ডিজাইনের ক্ষেত্রে সালোয়ার-কামিজে হাতাকাটা পরলে সেক্ষেত্রে চওড়া হাতা পরা ভালো। আপনি চাইলে আরেকটু বড় অর্থাৎ শর্ট হাতা কিংবা ম্যাগি হাতাও পরতে পারেন। আর হাই নেক পরলে যদি গরম বেশি লাগে, তাহলে শরীরের গড়ন অনুযায়ী অর্থাৎ আপনার স্বাস্থ্য যদি ভালো হয় তাহলে পরতে পারেন বড় গলার জামা, আর আপনার শরীর যদি চিকন গড়নের হয় তাহলে গোল গলার জামা পরাই ভালো। আর ছেলেরা ফর্মাল প্যান্টের সঙ্গে যেকোনো হালকা রঙের শার্ট ইন করে পরুন, দেখবেন অনেক মানিয়েছে।

এ তো গেল ড্রেসের কথা। এবার আসা যাক হেয়ার স্টাইলের কথায়। আমাদের গরম বেশি লাগে ঘাড়ের অংশে। সে জন্য এই গরমে মেয়েদের জন্য চুল ছেড়ে রাখাটা খুব ঝামেলার, বিশেষ করে অফিসে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় এর জন্য। এজন্য যারা শাড়ি পরবেন তারা যদি সব চুল জেল দিয়ে টেনে বেঁধে খোঁপা করেন, তাহলে খুব ভালো দেখাবে। ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গেও খোঁপা ভালো লাগবে আবার পনিটেইল করলেও মানাবে। এ ছাড়া সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ বেণি করলে ভালো দেখাবে। চাইলে সামনে চেহারার সঙ্গে মানিয়ে ব্যাঙ্গস অথবা ফ্রেঞ্চ কাটও দিতে পারেন।

আর মেকআপের সময় আপনি চেষ্টা করবেন লাইট বেইজ করে মেকআপ নিতে। আর আপনি ব্লাশন, কাজল ও লাইনার যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, সব মেকআপই যেন হালকা হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। আর অফিসে ব্যাগের মধ্যে ফেস পাউডার রেখে দিনে দুইবার রিটাচ করলে অনেক ফ্রেশ দেখাবে। কেউ যদি ফেস পাউডার ব্যবহার করতে না চান, সেক্ষেত্রে শুধু পানিও ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেরাও শুধু পানি দিয়ে তিন-চার বার মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। তাতে মুখে এই গরমে ব্রণ হবে না।

তো জানা হলো এই গরমে স্বস্তিতে থাকার টোটকা বা উপায়। এবার চেষ্টা করেই দেখুন কতটা ভালো থাকা যায় অফিসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close