জীবনযাপন ডেস্ক

  ১৭ আগস্ট, ২০১৮

ঈদের দিনের সাজ

ঈদুল আজহায় কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। বিশেষ করে ছেলেদের ওপর এর চাপটা যায় বেশি। কারণ, কোরবানির নানা কাজে তাদের প্রায় সারা দিনই ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে মেয়েদের বেলায় সামান্য ব্যতিক্রম থাকে। যদিও ঈদের বিশেষ রান্নার ধকল তাদেরও কম সইতে হয় না। এ ছাড়া ঘর গোছানো বা পোশাকের প্রস্তুতির পর নিজেদের সাজগোজের ব্যাপারেও তারা থাকে বেশ সচেতন। ফলে আগে থেকেই প্রত্যেকে ঠিক করে রাখে কীভাবে নিজেকে সাজবে, কখন কী পোশাক পরবে ইত্যাদি। এতে সৌন্দর্যটা ফুটে ওঠে খুব ভালোভাবে। এরপর ঈদের মেকআপ। ওই দিন বিভিন্ন ধাপে মেকআপ করতে হয়। তবে উৎসবের ধরন, বয়স, সময় ও পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই, স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রত্যেকে ঈদের দিন নিজেদের সাজিয়ে নিতে পারেন যেকোনো সাজে।

* ঈদের দিন সকালে বাড়িতে কাজের চাপ বেশি থাকে। তাই এ সময় কটন সালোয়ার-কামিজ আরামদায়ক হতে পারে। মেকআপের ক্ষেত্রে সঙ্গে হালকা ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, লিপস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজলে মানিয়ে যাবে বেশ। তবে গাঢ় আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। আর পোশাকের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিকও গাঢ় রঙের হতে পারে। তবে গরমের কারণে চুল খোলা না রেখে পাঞ্চ ক্লিপ দিয়ে আটকে নিলে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে।

* সকালের চেয়ে দুপুরের সাজ আরো বেশি দীপ্তিমান হতে হবে। দুপুরের আলোকিত সময়ে প্রসাধনীর রং উজ্জ্বল হতে হবে। চোখে গাঢ় করে কাজল দিতে পারেন আর লিপস্টিক হতে পারে একটু গাঢ় রঙের। গালে বুলিয়ে নিতে পারেন কিছুটা চকচকে রোজ পাউডার, লাগিয়ে নিতে পারেন চোখের ওপরে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে আইশ্যাডো বা কালার পেনসিল। এ সাজে আপনাকে দেখাবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়।

* সারা দিনের সাজের ঠিক বিপরীত হবে রাতে। রাতের সাজ হতে হবে গাঢ় এবং ভারী। বাঙালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। রাতের কোনো দাওয়াতে গেলে চড়া রঙের শাড়ি বেছে নিতে পারেন যেকোনো বয়সীরা। মুখে একটু পুরু করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ফেস পাউডার বা নরমাল সাদা পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের কোনো দাগ চোখে পড়বে না। চোখের ওপরে মোটা করে আইলাইনার আর চোখের নিচেও টেনে দিতে পারেন মোটা করে কাজল। রাতের সাজে চোখে মাশকারা, আইলাইনার ও গাঢ় রঙের শ্যাডো ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। ঠোঁটে গাড় লিপস্টিক, হাতভর্তি চুড়ি, গলায় ও কানে গয়না মোহনীয় করে তুলবে নারীর সাজসজ্জা।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এ দিনে মন খারাপ করে বা রাগ করে থাকলে সাজসজ্জা ভালো হলেও সবকিছুই ফিকে হয়ে যায়। তাই বাইরের সাজের চেয়ে মনের সাজের বেশি প্রয়োজন। আর বাইরের সাজ অবশ্যই হওয়া চাই আবহাওয়া, পরিবেশ পরিস্থিতি ও ধর্মীয় চেতনাকে ধারণ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close