জীবনযাপন ডেস্ক

  ০৫ জানুয়ারি, ২০১৮

শীতের চাদর

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখন শীত। হিমহিম সকালে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাখার মজাই আলাদা! চাদর দিয়ে যত সহজে শীত নিবারণ করা যায়, অন্য কোনো পোশাকে হয়তো এতটা সহজ হয় না। তবে দিনবদলে গেছে, তাই চাদর এখন শুধু শীত নিবারণের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এটি হয়ে উঠেছে ফ্যাশনেরও একটি অনুষঙ্গ। সময়ের প্রয়োজনে তরুণ প্রজন্মের কাছে শাল বা চাদরের কদর বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।

ফ্যাশনে বৈচিত্র্যময় চাদর

আমাদের দেশে বিভিন্ন ডিজাইন ও মোটিফের চাদর পাওয়া যায়। নজরকাড়া এসব চাদরের বুনন আর ডিজাইন খুব চমৎকার। ফ্যাশনসচেতন মেয়েদের পছন্দের তালিকায় এসব চাদর সবকিছুর ওপরে, আর তাই তাদের প্রথম পছন্দ খাদি চাদর। তবে অনেকে আবার শীতের বুড়িকে বশ করতে খদ্দর বা মোটা উলের চাদর বেছে নেন।

সিল্ক, খাদি, পশমি সুতা, মোটা সুতি ইত্যাদি কাপড়ের ওপর নির্মিত হচ্ছে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোর শীতের চাদর। বিভিন্ন মোটিফের চাদরে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। থাকছে নানা রকম সেলাই ও নকশার কাজ। এ ছাড়া জরি, পুঁতি, চুমকি ও পাথরের করা চাদরও রয়েছে তরুণীদের চাহিদার তালিকায়। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের অনেক ফ্যাশন হাউস সংগ্রহে রেখেছে বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মের নকশা করা চাদর। এসব চাদরের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে আবহমান গ্রাম-বাংলার দৃশ্য ও সেøাগান।

তবে দেশি চাদর ছাড়াও বিদেশি চাদরের চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে কাশ্মীরি পশমিনা চাদর জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে আমাদের দেশেও এখন তৈরি হচ্ছে পশমিনা চাদর। এ ছাড়া লুদিয়ানা, জয়পুরি, চায়নিজ, বার্মিজ ও ইরানি চাদর হতে পারে শীতের অন্যতম ফ্যাশন। তবে আপনি চাইলে একরঙা চাদরে নিজের ইচ্ছেমতো নকশা করে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শীতের ফ্যাশনে আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

বর্তমানে চাদরের ফ্যাশনে এগিয়ে আছে তরুণ প্রজন্ম। রংবেরঙের চাদর প্রয়োজনের পাশাপাশি হয়ে গেছে ফ্যাশনের একটি অংশ। তাই শুধু মেয়েদের জন্য নয়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেলেদের চাদরেও এসেছে বৈচিত্র্য। দেশি খাদি ও আদিবাসী শাল বেশ জনপ্রিয় ছেলেদের কাছে। টি-শার্ট, ফতুয়া কিংবা পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে পারেন নজরকাড়া এসব চাদর।

খোঁজখবর

আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোয় পাবেন পছন্দসই নানা রকম চাদর। রং, দেশাল, নিত্য-উপহার, আড়ং, বাংলার মেলাসহ অন্য হাউসগুলোয় মিলবে বাহারি ডিজাইনের এসব চাদর। এ ছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট, গাউসিয়া, বঙ্গবাজার থেকেও কিনতে পারেন। সাধারণ মানের শালের দাম পড়বে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ফ্যাশন হাউসগুলোয় কটন ও খদ্দের শালের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। কাশ্মীরি শাল মিলবে ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist