আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ : মার্কিন রাজনীতিকের ‘আত্মহত্যা’
যৌন নিগ্রহের অভিযোগের মুখে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান প্রতিনিধি ড্যান জনসন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বুধবার বন্দুকের একটি গুলিতে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কেনটাকির বুলিট কাউন্টির ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ডেভ বিলিংস, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসির। ৫৭ বছর বয়সী জনসনের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। প্রতিনিধি জনসন কেনটাকির লুইভেল এলাকার ‘হার্ট অব ফায়ার’ গির্জারও নেতা ছিলেন। গত সোমবার কেনটাকি সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে জনসন চার্চের এক কিশোরী সদস্যকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে ওই নারী জানান, ২০১৩ সালে নিজের বাড়ির বেজমেন্টে জনসন তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ অস্বীকার করেন জনসন। তার সংবাদ সম্মেলনের খবর ব্যাপক প্রচারণা পায়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় লুইভেলের কাছে মাউন্ট ওয়াশিংটনের নির্জন একটি অংশে নিজ গাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বন্দুকের একটি গুলিতে জনসনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা বিলিংস। ওই দিনই স্থানীয় সময় ৫টার কিছুক্ষণ আগে তিনি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নিজ পরিবারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, ১৬ বছর ধরে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে ভুগছেন তিনি এবং ‘এই অসুস্থতা তার জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে’। ২০১৬ সালে তিনি কেনটাকির প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক ফেসবুক পোস্টে বারাক ও মিশেল ওবামাকে বানরের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কিত হওয়ার পরও নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
"