আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩০ জুলাই, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে চীন

যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সবসময় চীনকেই দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র যেন নাছোড় বান্দা। দেশটি চীনের বিরুদ্ধে অব্যাহত রেখেছে অভিযোগের তীরবর্ষণ।

সম্প্রতি চীনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র বড় পরিসরে অবৈধ গোয়ান্দাগিরি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও নাগরিকদের প্রভাবিত করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, পিপল রিপাবলিক অব চায়না যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বেশ কয়েকবছর ধরে বৃহৎ পরিসরে অবৈধ গোয়ান্দাগিরি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাকারি কর্মকর্তা ও নাগরিকদের প্রভাবিত করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, এফবিআই ডিরেক্টর রে এবং এটর্নি জেনারেল বার জনসম্মুখে অনেকবার বলেন, চীনা কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি চুরি করছে, আমাদের ব্যবসায়ী নেতাদের অপদস্থ করছে, চীনে বসবাসরত চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে এবং আরো অনেক কিছু। যুক্তরাষ্ট্র আগে অভিযোগ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। তথ্য চুরির অভিযোগ তুলে হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। বসে থাকেনি চীনও। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন বন্ধ করে দিয়েছে চেংদুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট।

কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, চীন তাদের ইনটেলেকচুয়েল প্রপার্টি চুরি অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন তর্কে লিপ্ত। এরমধ্যে হংকংয়ের ওপর নতুন জাতীয় নিরাপত্ত আইন চাপিয়ে দেওয়াকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া শিনজিয়াং অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন, দক্ষিণ চীনা সাগরে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ওয়াশিংটন। চীনকে কাবু করতে যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কতটুকু সফলতা আসবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close