আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩০ জুলাই, ২০২০

উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিনব সামরিক মহড়া ইরানের

আচমকাই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলে। মিসাইল হামলার হাই অ্যালার্ট জারি হয়ে গিয়েছিল মার্কিন নৌসেনার একাধিক যুদ্ধ জাহাজে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, যুদ্ধ নয়, সামরিক মহড়ায় নেমেছে ইরানের সেনাবাহিনী। তবে সেই মহড়াও অভিনব। উপসাগরীয় অঞ্চলে নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ইরানের রিভোল্যুশনারি গার্ড সেই জাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। গতকাল মঙ্গলবারের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। ট্রাম্প সরকার ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে। এরমধ্যেই রিভোল্যুশনারি গার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এক কম্যান্ডারকে হত্যা করে ওয়াশিংটন। যার জেরে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। করোনা এসে দুই দেশের সেই তিক্ত সম্পর্কে খানিকটা হলেও পানি ঢেলেছিল। আপাত দৃষ্টিতে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ইরানের সেনাবাহিনী বুঝিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটুকু বদলায়নি। এ দিনের মহড়ার পর রিভোল্যুশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের ক্ষমতা দেখানোর জন্যই ওই নকল মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। পুরো মহড়াটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। দেশের মানুষকে দেখানো হয় ইরানের সক্ষমতা। যুক্তরাষ্ট্রও প্রাথমিকভাবে ইরানের এই অভিনব মহড়ায় হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলে দুইটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হাই অ্যালার্ট ঘোষণা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, এটি ইরানের সামরিক মহড়া। আসল যুদ্ধ নয়। তবে যেভাবে তেহরান এ কাজ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌ বাহিনীর কমান্ডার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার সহযোগী দেশগুলো নিয়ে উপসাগরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। এই অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর ইরান সেখানে নিজেদের আক্রমণাত্মক চেহারা প্রকাশ করছে। এটি এই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।’

যেভাবে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার ছবি দেখানো হয়েছে তা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এদিন টেলিভিশনে দেখা গেছে, নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালাচ্ছে ইরান। নকল ফাইটার জেটও দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইচ্ছে করেই ইরান এই কাজ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোকে তারা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে যে, উপসাগরীয় অঞ্চলে এখনও তাদের শক্তি অটুট। যুক্তরাষ্ট্রকেও একই বার্তা দিতে চেয়েছে তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close