আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩০ জুলাই, ২০২০

সরকারি ঋণে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে কাশ্মীরি যুবাদের

ভারত শাসিত কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঋণ কার্যক্রম ‘প্রাইম মিনিস্টারস এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম’র (পিএমইজিপি) আওতায় নতুন করে এ অঞ্চলের অনেক তরুণ-যুবা লাবভবান হচ্ছেন। এতে করে তাদের জন্য সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন অনেক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। সম্প্রতি ভারতীত সংবাদ সংস্থা এএনআই এ বিষয়ক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ঋণ কার্যক্রম পিএমইজিপি। এ কার্যক্রমের আওতায় বেকার যুবসমাজকে কর্মক্ষম করার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ভর্তুকিতে ঋণ দেওয়া হয়।

গত বছরের আগস্টে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর থেকে এ অঞ্চলে পিএমইজিপি ঋণ কার্যক্রম চালু করা হয়। এতে এ অঞ্চলের অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। এ প্রকল্প থেকে ঋণ পেয়ে লাভবান কাশ্মীরের পুলওয়ামা এলাকার ব্যবসায়ী জহুর আহমেদ। বেশকিছু সেলাই মেশিনসহ ছোটখাটো একটি পোশাক তৈরি কারখানা আছে তার। করোনা পরিস্থিতিতে এ কারখানা থেকে হাজার হাজার মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। ‘খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ বোর্ড’ (কেভিআইবি) তাকে এই কারখানা বসাতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে এখানে অনেকে তরুণেরই কর্মসংস্থান হয়েছে। জহুর বলেন, করোনা যখন এলো, জেলা প্রশাসনের এক অর্ডার পেয়ে আমরা প্রায় ৮০ হাজার মাস্ক বানাই। জহুরের মতো কাশ্মীরের আরো অনেকেই সরকারি এই ঋণ কার্যক্রম থেকে লাভবান হচ্ছেন। এরকমই আরেকজন তারিক আহমেদ। তারও জহুরের মতোই একটি সেলাই কারখানা আছে। তাতে ২০ জনেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। এ ঋণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে তারিক বলেন, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। এতে করে শিক্ষিত বেকার তরুণ-যুবকরা উপকৃত হচ্ছে। তারিকের কারখানায় কাজ করেন জাভেদ মালিক। তিনিও পিএমইজিপি কার্যক্রমে লাভবান বলে জানান। তারিক বলেন, আমি বেকার ছিলাম কিন্তু এখন আমার এই বন্ধুর কারখানায় কাজ করছি। এটা প্রশাসনের খুব ভালো একটা পদক্ষেপ।

কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বাস। এর প্রায় অর্ধেকই যুবসমাজ। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর থেকে এ অঞ্চলের অনেক মানুষই নানাভাবে লাভবান হতে শুরু করেছেন। আগামীর দিনগুলো তাদের জন্য আরো সুখ ও সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশাবাদী তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close