আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ জুলাই, ২০২০

ঝুঁকি কমাতে ভিয়েতনামে বন্যপ্রাণী বাণিজ্য নিষিদ্ধ

নতুন করে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে বন্যপ্রাণী বাণিজ্য নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে ওই নির্দেশনা জারি করে তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনায় জীবন্ত বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করাসহ বন্যপ্রাণীর বাজার তুলে দেওয়া, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার, বন্যপ্রাণী ব্যবসা ও অনলাইনে বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশে ভিয়েতনাম প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং হাতির দাঁতের মতো অবৈধ বন্যপ্রাণী পণ্যের বড় বাজার। গ-ারের শিংয়ে ঔষধি গুণ আছে বিশ্বাস থেকে সেখানে এর চাহিদাও অনেক। এসব বন্ধ করতেই ভিয়েতনাম সরকার এ নির্দেশনা জারি করেছে। দেশটির প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো হয়ত এ নির্দেশনাকে স্বাগত জানাবে। তবে একটি সংগঠন একেও যথেষ্ট বলে মনে করেছে না।

সেভ ভিয়েতনামস ওয়াইল্ডলাইফের পরিচালক নুয়েন ভ্যান থাই বলেন, ওই নির্দেশনায় বন্যপ্রাণী ধরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ কেবল খাবারের জন্যই নয়, ওষুধ তৈরিতেও বন্যপ্রাণী ব্যবহার হয় এবং পোষ্য হিসেবেও এর চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়গুলো নির্দেশনার আওতায় আনা হয়নি। তাই কোন কোন কাজে বন্যপ্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তার একটি পরিষ্কার ও বিস্তারিত তালিকা পাওয়া গেলে আরো বেশি ভালো হবে। ভিয়েতনামে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে এমনটি ১৪টি সংগঠন গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে এক চিঠিতে দেশজুড়ে বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজার এবং অন্য স্থানগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছিল। প্রচলিত আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বন্যপ্রাণী বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলে। এসব দেশগুলোতে এখন অনলাইনেও বন্যপ্রাণী বিক্রির বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রতিবেশী চীন সরকারও বন্যপ্রাণী কেনাবেচা এবং খাওয়া নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বন্যপ্রাণীর শরীর থেকে মানবদেহে প্রবেশ করেছে বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close