আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ জুন, ২০২০

বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের হুমকির পর এর বিরোধিতা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। গত বুধবার এসপার বলেছেন, বর্ণবাদী অন্যায়, অবিচার এবং ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা প্রশমনে সেনা মোতায়েন করাকে তিনি সমর্থন করেন না। পেন্টাগনে এক বক্তব্যে এসপার বলেন, একমাত্র শেষ উপায় হিসাবেই সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সামরিক বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকায় নামানোর বিকল্প পথ অবলম্বন করা উচিত। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং ভয়াবহ হলেই কেবল তা করা যেতে পারে। এখন আমরা সেরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়িনি। ফলে ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ (যে ফেডারেল আইনে প্রেসিডেন্ট সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা রাখেন) এর শরণাপন্ন হওয়াটা সমর্থন করেন না বলেই জানিয়েছেন এসপার। ফ্লয়েড হত্যাকে তিনি এক ‘ভয়ংকর অপরাধ’ বলেও বর্ণনা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিনি বলেন, তাকে (ফ্লয়েড) খুন করার জন্য ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মুখে দাঁড় করানো উচিত। এ এক মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বহুবারই এর পুনরাবৃত্তি দেখে আসছি।

গত সপ্তাহে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাটুর চাপে দমবন্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা উত্তাল সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এসপার এ মন্তব্য করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিন আগেই বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানোর হুমকি দিয়েছিলেন। বড় বড় শহরগুলোতে লাগাতার সহিংস বিক্ষোভ ও লুটপাট ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনে রাজি না হলে ট্রাম্প নিজেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এর বিপরীতে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close