কলকাতা প্রতিনিধি

  ০৩ জুন, ২০২০

আসামে ভূমিধসে মৃত ২০ বাড়তে পারে মৃত্যু

দক্ষিণ আসামে প্রবল বৃষ্টির ফলে হওয়া ভূমিধসের জেরে তিনটি পৃথক জায়গায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের।এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরবেলা মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অসমের কাছাড় জেলায়। অন্যটি দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে হাইলকান্দি ও করিমগঞ্জে। কাদার নিচে আরো অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ কাছাড়ের লখিপুর এলাকার জয়পুর থানার অধীনস্থ কোলাপুর গ্রামে ভূমিধসের জেরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে।তার তলায় চাপা পড়ে যান ওই বাড়িতে থাকা তিন মহিলা ও চারজন পুরুষ। বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।খবর পেয়ে হাজির হন জয়পুর থানার পুলিশ কর্মীরাও।সবাই মিলে ভেঙে পড়ার বাড়ির নিচ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এছাড়া হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জখম হয়েছেন আরো কয়েকজন। অন্যদিকে করিমগঞ্জ জেলায় ভূমিধসের ফলে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।আর জখম হয়েছেন ১০ জন।তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাছাড়ের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জয়পুর থানা ওসি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের মারফত খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে যান ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা। তারপর এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে চারদিকে ভূমিধসে হচ্ছে তাই সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। না হলে এই ধরনের বিপদ আরো ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে সাতজন কাছার জেলার বাসিন্দা, সাতজন হাইলাকান্দি জেলার বাসিন্দা এবং আরও ছয়জন করিমগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

আসলে গত কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নাগাড়ে ভারী বৃষ্টির কারণেই মাটি আলগা হয়ে ধস নামে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে এবং উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য, আসাম। আসামে মারাত্মক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষ। সেখানকার গোয়ালপাড়া জেলা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপরই রয়েছে নাগাঁও এবং হোজাই জেলা। আসামের বন্যায় সরকারি হিসাবে এখনো পর্যন্ত ৬ জন মানুষ মারা গেছেন এবং ৩৪৮ টি গ্রাম বন্যার জলে ডুবে রয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে যে, আসামে প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে প্রবল বন্যার কারণে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close