আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ মে, ২০২০

পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরের অন্যান্য সব সশস্ত্র নৌযানের নাবিকদের মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোর কাছ থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকতে বলেছে। সাবধান বাণী না শুনে যুদ্ধাজাহাজের কাছে ঘেঁষলে ওই আচরণকে ‘হুমকি’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এমন ক্ষেত্রে ‘ন্যায্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ নেওয়া হতে পারে বলেও হুশিয়ার করেছে তারা। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার পারস্য উপসাগরের নৌযানগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন নৌবাহিনী এ হুশিয়ারি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নাম উল্লেখ না করলেও এ সাবধান বাণী মূলত ইরানি নৌযানগুলোর উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়েছে। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নৌযানকে হয়রানি করলে ইরানি জাহাজ কিংবা গানবোটকে গুলি করে ধ্বংস করে দিতে বলেছিলেন। তার ওই হুমকির ধারাবাহিকতাতেই মঙ্গলবার মার্কিন নৌবাহিনী এ সতর্কবার্তা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সশস্ত্র কোনো নৌযান যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নৌযানের ১০০ মিটারের মধ্যে এলে তা হুমকি হিসেবে গণ্য করা হবে, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই লেখা আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নাবিকদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও এটি উপসাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ‘মুখোমুখি হওয়ার নীতি’ পরিবর্তনের নির্দেশনা নয়। মাসখানেক আগে ট্রাম্প ইরানি গানবোটকে গুলি করার যে হুমকি দিয়েছিলেন, পেন্টাগন তাকে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

বাহরাইনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিজ্ঞপ্তিটি মূলত ‘নিরাপত্তা বৃদ্ধি, অস্পষ্টতা হ্রাস এবং ভুল করার ঝুঁকি কমানোর’ লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজের খুব কাছে ইরানের ১১টি নৌযান চলে এলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এ ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক’ আচরণ বলে অভিহিত করেছিল। এক পর্যায়ে ইরানি নৌযানগুলো মার্কিন কোস্টগার্ডের নৌযান মাউই-র ১০ গজের মধ্যেও চলে এসেছিল, দাবি করে তারা। ওই ঘটনার পরপরই ট্রাম্প উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে হয়রানি করলে ইরানি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। তেহরান অবশ্য এপ্রিলের ওই ঘটনার জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করেছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর প্রধান উপসাগরে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হলে যে কোনো মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ার করেছিলেন।

জানুয়ারিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের অন্যতম শীর্ষ সামরিক কমান্ডার কাশেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close