আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৬ এপ্রিল, ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাস্ক ডাকাতির অভিযোগ!

জার্মানিতে যাচ্ছিল এমন ২ লাখ মাস্ক মাঝপথে নিজেদের ব্যবহারের জন্য নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে ডাকাতি বা দস্যুতার অভিযোগ ওঠেছে। বার্লিনের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, এসব মাস্ক জার্মানিতে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ব্যাংককে শিপমেন্টটি জব্দ করে জার্মানির পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বার্লিনের পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য এই এফএফপি-২ মাস্ক কেনার আদেশ দেওয়া হয়। মার্কিন কোম্পানি থ্রিএম এসব মাস্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এগুলো আর বার্লিনে পৌঁছায়নি। বার্লিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ড্রিয়াস গিসেল জানিয়েছেন, সম্ভবত এখন সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মেডিকেলসামগ্রী অন্য দেশে রফতানি করা যাবে না। কোরিয়ান যুদ্ধের সময় একটি আইন বলে তিনি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, মার্কিন কোম্পানিগুলো যাতে দেশের চাহিদা মেটাতে চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ বাড়ায় সেজন্য তিনি ‘প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইন’ ব্যবহার করেছেন।

হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আমাদের এখনই এসব সামগ্রী দরকার। আমাদের অবশ্যই এগুলো পেতে হবে।’ তিনি জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ লাখ এন-নাইনটি-ফাইভ রেসপিরেটর মাস্ক, ১ লাখ ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ৬ লাখ গ্লাভস জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তবে এগুলো কোন দেশে জব্দ করা হয়েছে সেটা তিনি বলেননি।

বার্লিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ড্রিয়াস গিসেল তাদের মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে ‘আধুনিক কালের দস্যুতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। আন্ড্রিয়াস গিসেল বলেন, আটলান্টিকের অপর পাড়ের বন্ধুর সঙ্গে এটা কেমন আচরণ বিশ্বজুড়ে সংকটের সময় এ রকম বন্য আচরণ করা উচিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ গিসেল একা করছেন না। ইউরোপের অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারাও দেশটির বিরুদ্ধে চালান আটকে দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন।

ফ্রান্সে আঞ্চলিক সরকারের নেতারা বলছেন, তারা মেডিকেল সরঞ্জাম কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বেশি মূল্য দিয়ে এগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেশটির একজন আঞ্চলিক নেতা মাস্ক কেনার জন্য এখন রীতিমতো যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাকে ‘ট্রেজার হান্ট’ বা ‘গুপ্তধন’ খুঁজে পাওয়ার প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close