আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ এপ্রিল, ২০২০

হজযাত্রীদের জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে দেশটির পবিত্র দুই নগরীতে মক্কা-মদিনাতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুরো দেশে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছর মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় জমায়েত পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে কি-না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ১৭৯৮ সালের পর এ প্রথম বাতিল হতে পারে হজ। যা ২২২ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

এদিকে সৌদি কর্মকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর হজ বাতিল হতে পারে। ইসলামের ইতিহাসে অবশ্য হজ বাতিলের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে আধুনিক ইতিহাসে এটা বিরল ঘটনা। সর্বশেষ ২২২ বছর আগে ১৭৯৮ সালে হজ বাতিল করা হয়েছিল।

সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। এ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, চলতি বছর হজ অনুষ্ঠিত নাও হতে পারে। জুলাই মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়ার কথা এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা। তবে হজের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমদের হজে অংশগ্রহণের বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মক্কা ও মদিনা মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুটি শহর, যা হজযাত্রার কেন্দ্রবিন্দু। করোনার কারণে দুটি শহরই গত এক মাস ধরে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রয়েছে। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়ও এই দুটি শহর বন্ধ করা হয়নি। সৌদি কর্মকর্তারা বিদেশের জন্য দেশের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং আংশিকভাবে হজের আগে এই ভাইরাসটি নির্মূল করার আশায় মক্কা ও মদিনার অভ্যন্তরে চলাচলে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বান্তেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, সৌদি আরব সমস্ত মুসলিম ও নাগরিকের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close