আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ মার্চ, ২০২০

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু যুক্তরাষ্ট্রের

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় এসব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত সোমবার আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তানের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক আশরাফ ঘানি এবং আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ দুজনই একই দিন আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনই এ সেনা প্রত্যাহার শুরু হলো। দুই রাজনীতিক আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ঘটনায় দেশটিতে অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্নেল সনি লেগেট জানিয়েছেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে তাদের যে সেনা মোতায়েন রয়েছে তা কমিয়ে ৮৬০০-তে নামিয়ে আনা হবে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সংকট আছে কী নেই, কাবুলে প্রেসিডেন্ট একজন নাকি দুজন; সেগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সময় নষ্ট করবে না। বরং ১৩৫ দিনের মধ্যে সেনা সংখ্যা কমিয়ে ৮৬০০-তে নামিয়ে আনা হবে।’

সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের মধ্যে বহুল প্রতিক্ষীত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করছে। আশা করা হচ্ছে যে, এর মাধ্যমে দেশটিতে ১৯ বছরের মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে। তবে মার্কিন সমর্থিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এবং অপর রাজনীতিক আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলাদাভাবে শপথগ্রহণ নতুন রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুলের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের টিকে থাকা নিয়েও ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর দেশটির বর্তমান প্রশাসনের টিকে থাকার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সূত্র : পার্স টুডে, আল-জাজিরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close