আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পুতিন, মারকেল ও ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বসছেন এরদোয়ান

সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আগামী ৫ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এ বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। গত শনিবার তুরস্কের ইজমিরে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সিরিয়ার ইদলিব পরিস্থিতি নিয়ে গত শুক্রবার ফোনে পুতিন, মারকেল ও ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওই ফোনালাপের বিষয়ে এরদোয়ান বলেন, ইদলিবের বিষয়টি আফরিনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে আগামী ৫ মার্চ আমরা মিলিত হবো।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশের অভিযান কুর্দি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এলাকাগুলোতে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। ইদলিবেও একইভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় আঙ্কারা। আশা করি, এখানেও আমরা সফল হবো যাতে আমাদের ও সিরীয় ভাইদের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব হয়।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তুর্কি পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রয়োজনে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুশিয়ারি দেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ইদলিবে তুর্কি সামরিক অবস্থানের আশপাশ থেকে সিরীয় সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে ফেব্রুয়ারির শেষে সেখানে অভিযান চালাবে আঙ্কারা।

এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের আর একজন সেনাও যদি আক্রান্ত হয় তাহলে আসাদ বাহিনীর ওপর হামলা চালাবে আঙ্কারা। যেকোনো মূল্যে স্থল কিংবা আকাশপথে; যেকোনো স্থানে এ হামলা চালানো হবে। যেকোনো মূল্যে সেখানে নিরাপত্তা জোন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ইদলিবের আকাশপথ বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করছে আসাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া। তবে এ মাসে আসাদ বাহিনী ১৩ তুর্কি সেনাকে হত্যার পর পাল্টা জবাব হিসেবে সিরিয়ার শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালায় তুরস্ক। পাল্টা আঘাত অব্যাহত রাখার হুশিয়ারি দেন এরদোয়ান। এ নিয়ে মস্কোর সঙ্গেও আঙ্কারার সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়। সম্প্রতি আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির সমাবেশেও এ নিয়ে কথা বলেন এরদোয়ান। এদিন তিনি বলেন, তুর্কি সেনাদের ওপর হামলার জন্য আসাদ

বাহিনীকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

ইরানি মিলিশিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলার মাধ্যমে দেশজুড়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইরান ও রাশিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় এক সামরিক অভিযান শুরু করে আসাদ বাহিনী। দখল করে নেয় বহু শহর ও গ্রাম। ইরান, রাশিয়া ও আসাদ বাহিনীর সমন্বিত হামলার মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close