কলকাতা প্রতিনিধি

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

একাত্তরের বন্ধু কৃষ্ণা বসু মারা গেছেন

স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষের বণ্ঠস্বর, একাত্তরে বাংলাদেশের বন্ধু ভারতীয় শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসু মারা গেছেন। প্রয়াত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ, সাবেক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কৃষ্ণা বসু গত শনিবার সকালে কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি নেতাজির ভাতিজা শিশির কুমার বসুর স্ত্রী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেজদাদা শরৎ কুমার বসুর পুত্র ডা. শিশির কুমার বসু যিনি নেতাজিকে কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় ব্রিটিশ শাসকের চোখে ধুলো দিয়ে তার মহানিষ্ক্রমণে সক্রিয় সহায়তা করেছিলেন। তার পুত্র বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুগত বসুও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন। নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর প্রধান কৃষ্ণা বসু দীর্ঘ ৪০ বছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অধ্যাপিকা কৃষ্ণা বসুর অসংখ্য বই রয়েছে। তার মধ্যে নেতাজি সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণামূলক বই বেশ জনপ্রিয়।

কৃষ্ণা বসু ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হন। এমপি থাকাকালে তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এক্সটার্নাল আফেয়ার্সের চেয়ারপারসনের পাশাপাশি কমিটি অন অফিশিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ ও দেশপ্রেমের ভাবনাকে তিনি প্রসারিত করে গেছেন। কৃষ্ণা বসু, অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স, এমিলি অ্যান্ড সুভাষ, লস্ট অ্যাড্রেসেস, চরণরেখা তব, প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র, ইতিহাসের সন্ধানে কৃষ্ণা বসুর বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।

জন্ম ১৯৩০ সালে অবিভক্ত ভারতের ঢাকা শহরে। তার বাবা চারু চন্দ্র চৌধুরী বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সচিব পদে ছিলেন। ১৯৫৫ সালে শিশির কুমার বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণাদেবীর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর হন। পরবর্তী সময়ে সিটি কলেজে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অধ্যাপনা করেছেন। ওই কলেজের অধ্যক্ষও ছিলেন টানা ৮ বছর। তবে তার পরিচিতির ব্যাপ্তি ঘটে নেতাজি নিয়ে গবেষণায়। কাউন্সিল অব নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর প্রধান ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close