পদত্যাগের প্রায় দুই বছর পর আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরছেন হোপ হিকস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম তিনি। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সাবেক এই যোগাযোগ পরিচালক এবার ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে তাকে রিপোর্ট করতে হবে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের কাছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হোপ হিকস ছাড়াও হোয়াইট হাউসে নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী সেন স্পাইসার ও রেইন্স প্রাইবাস। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর আমেরিকান সংবাদমাধ্যম কোম্পানি ফক্স করপোরেশনে কাজ শুরু করেন হোপ হিকস।

ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্যবসায় সহযোগী হিসেবে ২০১৪ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবিরে যুক্ত হন হোপ হিকস। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরে তিনি হোয়াইট হাউসেও যোগ দেন। তবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে তদন্ত চালানো একটি কংগ্রেস কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য পেশের পরদিনই ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তারপর থেকে ফক্স করপোরেশনে কাজ শুরু করেন ৩১ বছর বয়সি এই সাবেক মডেল।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে হোপ হিকসের নিয়োগের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিসাম বলেন, প্রায় ছয় বছর ধরে আমি হোপের সঙ্গে কাজ করেছি আর কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি আমার দেখা অন্যতম প্রতিভাবান ও কা-জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তিনি। গ্রিসাম বলেন, নিজের অবিচল আত্মবিশ্বাস, বিশ্বস্ততা ও বিশেষায়িত জ্ঞান দিয়ে তিনি সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করেছেন এবং হোয়াইট হাউসে তাকে আবারও স্বাগত জানাতে পেরে রোমাঞ্চিত বোধ করছি।

হোয়াইট হাউসের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্সও হোপ হিকসের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, হোপের চেয়ে বেশি আর কেউ বিশ্বস্ত, প্রতিভাবান... হতে পারে না। তিনি বলেন, তিনি কেবল মেধাবীই নন, একজন অসাধারণ বন্ধুও আর প্রেসিডেন্ট ও তার দলের জন্য তিনি এক অসাধারণ সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সাবেক চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রাইবাস এবং সাবেক মুখপাত্র সেন স্পাইসারও এই সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে নতুন চাকরি পেতে পারেন। এর আগেও ট্রাম্পের অধীনে সাত মাস কাজ করেছেন প্রাইবাস। পরে তাকে সরিয়ে নতুন চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক মেরিন জেনারেল জেন কেলিকে। এছাড়া ট্রাম্পের মুখপাত্র হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন সেন স্পাইসার। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিরোধে জড়ানোর জেরে চাকরি হারাতে হয় তাকে।

"