আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকে শিয়া নেতার বাড়িতে ড্রোন হামলা
ইরাকে শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদরের বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তার পরিচালিত আন্দোলনের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল ইরাকি দাবি করেন, ইরাকে আন্দোলনকারীদের রক্ষায় আল সদরের নির্দেশের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরাক থেকে মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পরে দেশটিতে শিয়া-সুন্নি বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। দেশটির ৭০ শতাংশ শিয়া এবং ২৮ শতাংশ জনগণ সুন্নি। প্রায়ই তাদের মধ্যে সংঘাত দেখা যায়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ওপর একদল অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীর সিরিজ হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। তাদেরই সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুকতাদা আল সদর।
তবে তার বাড়িতে চালানো ড্রোন হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক পুলিশ জানান, এখনো হামলা দায়ও স্বীকার করেনি কেউ।
গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানের দখল নিলে তাদের ওপর অতর্কিতে এ হামলা চালানো হয়। বাগদাদের বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কয়ার সংলগ্ন এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। তবে কারা এসব হামলা চালিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ইরাকের আধা সরকারি মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১৭ হাজার। জাতিসংঘ ও ইরাকের মানবাধিকার কমিশনের মতে, বেশির ভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও গুলিবর্ষণের ফলে।
"