আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফ্লোরিডার নৌঘাঁটিতে হামলাকারী সৌদি নাগরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
ফ্লোরিডার মার্কিন নৌঘাঁটিতে হামলা চালানো বন্দুকধারী সৌদি আরবের নাগরিক এবং তিনি ওই ঘাঁটিতেই প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। হামলাকারী মোহাম্মদ সাইদ আল শামরানি সৌদি বিমান বাহিনীর সদস্য গত শুক্রবার পাল্টা গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
হাওয়াইয়ের পার্ল হারবার সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর এক নাবিকের গুলিতে দুই বেসামরিক নিহত ও একজন আহত হওয়ার দুই দিন পর পেনসাকোলা নৌঘাঁটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি গত শুক্রবারের এ হামলায় বন্দুকধারীসহ মোট চারজন নিহত এবং আরো আটজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। হামলায় বন্দুকধারী হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছিলেন বলে স্থানীয় শেরিফের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
আলাবামা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ফ্লোরিডার এই ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর একটি। মার্কিন নৌবাহিনীর অ্যারোবেটিক ফ্লাইট ডেমোনস্ট্রেশন স্কয়াড্রন ‘দ্য ব্লু অ্যাঞ্জেলস’-এর কার্যক্রমও এই ঘাঁটিতে। ঘাঁটিটিতে ১৬ হাজারের বেশি সামরিক এবং ৭ হাজার ৪০০ বেসামরিককর্মী নিয়োজিত আছেন।
হামলাকারী যেহেতু বিদেশি নাগরিক, সৌদি বিমান বাহিনীর সদস্য এবং আমাদের এখানে প্রশিক্ষণে এসেছিলেন, সুতরাং অবশ্যই অনেক প্রশ্ন উঠবে, বলেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, নৌঘাঁটিতে হামলার ঘটনার পরপরই সৌদি বাদশা সালমান তাকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
হামলাকারী ব্যক্তি কোনো অবস্থাতেই সৌদি জনগণের অনুভূতিকে ধারণ করে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি, ভাষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জানানোর আগ পর্যন্ত হতাহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে না বলে মার্কিন নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
"