আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক : যুক্তরাষ্ট্র

তুরস্কের যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জাতিসংঘের

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। ওয়াশিংটনের এ সংক্রান্ত আহ্বানে আঙ্কারার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। গত বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মাইক পেন্স বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। সেখানে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুর্দি বিদ্রোহীদের এলাকাটি ছেড়ে যেতে ১২০ ঘণ্টার জন্য অভিযান স্থগিত রাখবে আঙ্কারা। এ সময়ে সিরিয়ায় অপারেশন পিস স্প্রিং নামের তুর্কি সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে।

এর আগে এরদোয়ান-পেন্স বৈঠকের পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে তিনি জানান, তুরস্কের কাছ থেকে শিগগিরই চমৎকার খবর আসতে যাচ্ছে। টুইটে ট্রাম্প বলেন, দুর্দান্ত খবর। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করবেন। ধন্যবাদ এরদোয়ান। লাখ লাখ জীবন রক্ষা পাবে।

গত ৬ অক্টোবর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প জানান, সিরিয়ার তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সমালোচকরা বলছেন, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তুরস্ককে সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে সিরিয়ায় হামলা চালানোর জন্য তুরস্ককে সবুজ সংকেত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য সেখানে তারা একটি সেফ জোন গড়ে তুলতে চায়।

গত বুধবার ট্রাম্প বলেন, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অসাধারণ। আমাদের সেনারা সেখানে নেই। তারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমরা পরিস্থিতি দেখছি এবং আলোচনা করছি যাতে তুরস্ক সঠিক কাজ করতে পারে। কারণ আমরা চাই যুদ্ধ থামাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য আঙ্কারার প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। অন্যথায় তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংস করে করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। সূত্র: আল জাজিরা।

এদিকে কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জাতিসংঘ চার্টার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে বেসামরিকদের সুরক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানান মহাসচিব।’

জাতিসংঘ জানায়, মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস মনে করেন সিরীয় সংকট মোকাবিলায় এখনো আরো অনেক কিছু করার আছে। এখনো অনেক পথ বাকি। গত ৬ অক্টোবর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প জানান, সিরিয়ার তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সমালোচকরা বলছেন, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তুরস্ককে সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অসাধারণ। আমাদের সেনারা সেখানে নেই। তারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমরা পরিস্থিতি দেখছি এবং আলোচনা করছি যাতে তুরস্ক সঠিক কাজ করতে পারে। কারণ আমরা চাই যুদ্ধ থামাতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close