আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৯

কাশ্মীরের সাবেক ২ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেলেন নেতারা

কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ ও তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছেন দলীয় নেতারা। প্রায় দুই মাস পর দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের দেখা করার অনুমতি দিয়েছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল কনফারেন্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।

মোদি সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই ভাগ করে দেওয়ার পর উপত্যকাজুড়ে চালানো হয় ব্যাপক ধরপাকড়। আটক করা হয় শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে। সে সময় অন্যদের সঙ্গে ভারতপন্থি হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরের সাবেক এ দুই মুখ্যমন্ত্রীকেও গৃহবন্দি করা হয়।

গতকাল রোববার সকালে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা দেবেন্দ্র সিং রানার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যাবে ফারুক আবদুল্লাহ ও ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে। দেবেন্দ্র রানা গৃহবন্দি ছিলেন। দুদিন আগে তাকেসহ জম্মুর কয়েকজন নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গত সোমবারই কাশ্মীরের নির্বাচন কমিশনার স্থানীয় ব্লক পর্যায়ের নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তারপরই গত আড়াই মাস ধরে গৃহবন্দি থাকা বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দেয় প্রশাসন।

কাশ্মীরের তুলনায় জম্মুর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তাই সেখানকার নেতাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে ধাপে ধাপে অন্য অংশের নেতাদেরও গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন।

আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘কাশ্মীর যেন একটা খাঁচা। আর রাজনৈতিক নেতারা যেন সেই খাঁচায় বন্দি জন্তু।’ তবে দুই দিন আগেই অমিত শাহ বলেছিলেন, ওখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সব বিধিনিষেধ বিরোধীদের মনে।

এদিকে দীর্ঘ চেষ্টার পরও ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন। ভারতের মোদি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, কিছু লুকানোর না থাকলে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দিতে কেন ভয় পাবে দিল্লি? গত শুক্রবার দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

দিল্লিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলাম। সে হিসেবে এক সপ্তাহ আগে থেকে আবেদন জানিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুমতি মেলেনি। কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য সময় এখন অনুকূল নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ রাজনীতিক বলেন, কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি কেমন তা দেখতে চেয়েছিলাম। ভারত সরকারের আপত্তিতে তা হয়ে উঠেনি। কোনো কিছু লুকানোর না থাকলে, সেখানে পা রাখা নিয়ে ভয় থাকার কথা নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close