আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

ট্রাম্পের সমালোচনায় থেরেসা মে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেট দলীয় কয়েকজন নারী কংগ্রেস সদস্যকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর এর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার কথায়, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না’। বিশেষ করে ওই নারী সদস্যদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলেই মে মন্তব্য করেছেন। গত সোমবার এ কথা জানিয়েছেন তার কার্যালয়ের মুখপাত্র।

ট্রাম্প চার নারী কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-করতেস, রাশিদা তালিব, আইয়ানা প্রেসলি ও ইলহান ওমরকে ‘নিজ দেশে ফিরে যেতে’ বলে এরই মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের কাছ থেকে বর্ণবাদের অভিযোগের মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্ত করা এবং শ্বেতাঙ্গময় করাই ট্রাম্পের উদ্দেশ্য বলেও তারা সমালোচনা করেছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন রাজনীতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সমালোচনা করা বিরল পদক্ষেপ। ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করলেও মে তাকে বর্ণবাদী তকমা দেননি। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এবারই মে খোলাখুলিভাবে সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প যে চার নারী কংগ্রেসের সদস্যকে দেশে ফিরতে বলেছেন, তার মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, একমাত্র ইলহান ওমরই শিশু অবস্থায় শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন।

এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘প্রগতিশীল’ এসব ডেমোক্রেট নারী সদস্য এমন সব দেশ থেকে এসেছেন, যাদের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ, বিশ্বে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অদক্ষ। অথচ এরাই এখন জোর গলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তথা, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশকে জোরগলায় বলছেন, সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে। সেটি না করে বরং তাদের উচিত যার যার দেশে ফিরে যাওয়া। সেখানকার অবস্থা বদলানোর পর তারা ফিরে এসে দেখাক, কীভাবে আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ট্রাম্প সরাসরি চার নারীর নাম না বললেও তার কথার পটভূমি এবং বিশেষ করে তিনি ডেমোক্রেটিক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নাম উল্লেখ করায় কোন চার নারীকে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ওই চারজনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন পেলোসি। ট্রাম্প তার টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘পেলোসি খুশি হয়ে চারজনকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেবেন’।

তবে ট্রাম্পের ওই টুইট বার্তার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পেলোসি কার্যত চার নারীর পক্ষ সমর্থন করেই কথা বলেছেন। ট্রাম্পের টুইটকে ‘বিদ্বেষমূলক’ অভিহিত করে এর সমালোচনা করেছেন তিনি। তা ছাড়া, সাংবাদিকসহ অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষরাও ট্রাম্পে টুইটের কড়া সমালোচনা করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close