আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ জুলাই, ২০১৯

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, বন্দর রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে কুয়েত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে। গত শনিবার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশের বন্দরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে নৌবাহিনী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

এমন সময়ে এ খবর এলো উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান ও ইয়েমেন সংলগ্ন পানিসীমার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেছেন, তিনি ওই অঞ্চলে ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করতে চান।

২০১৯ সালের মে মাসে ওমান উপসাগরে চারটি ট্যাংকারে হামলার পর গত মাসে ওই এলাকায় আরো দুটি ট্যাংকারে হামলা হয়। সবকটি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জুন মাসে ট্যাংকারে হামলার কয়েক দিনের মাথায় একটি চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ইরানের দাবি, ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই ছিল।

জোসেফ ডানফোর্ড জানান, ওই এলাকায় পানিসীমার সুরক্ষা দিতে একটি সামরিক জোট গঠনের পরিকল্পনা চলছে। এ পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায়ে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জোট গঠন করা সম্ভব হলে হরমুজ ও বাবুল মান্দেব প্রণালিতে জাহাজ চলাচল স্বাধীন ও নিরাপদ হবে। আমি মনে করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হবে কোন কোন দেশ এ জোটে যোগ দিতে ইচ্ছুক। এরপর আমরা সরাসরি সামরিক বাহিনীকে নিয়ে কাজ করব, যাতে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষমতা যাচাই করা সম্ভব হয়।’ এমন পরিস্থিতিতেই বন্দর রক্ষায় সমর প্রস্তুতির কথা জানাল কুয়েত।

এদিকে জিব্রাল্টার প্রণালিতে আটক ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাংকার নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেহরান। লন্ডনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়েদিনেজাদ বলেছেন, আটককৃত তেলবাহী সুপার ট্যাংকার গ্রেস-ওয়ানকে মুক্তি না দিলে যুক্তরাজ্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close