আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ জুলাই, ২০১৯

কর্ণাটকে কংগ্রেস জেডিএস জোট ভাঙনের মুখে

বিদ্রোহ ও অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ১১ বিধায়ক পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলার জোট সরকার খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এনডিটিভি জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া বিধায়কদের মধ্যে আটজন কংগ্রেসের এবং তিনজন জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস)। যদিও স্পিকার ওই সময় তার কার্যালয়ে ছিলেন না। স্পিকার রমেশ কুমারকে না পেয়ে বিধায়কদের কয়েকজন ‘রাজ ভবনে’ গভর্নর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

১১ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে। অথচ চরম এ সংকটে যার কা-ারি হওয়ার কথা তিনি এখন দেশেই নেই। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জেডিএস নেতা এইচডি কুমারাস্বামী এখন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছেন।

জেডিএসর পদত্যাগ করা এক বিধায়ক বলেন, আমরা স্পিকারের কার্যালয়ে আমাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা গভর্নরকেও এ বিষয়ে জানিয়েছি। আমরা আমাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার অনুরোধ করছি। কর্ণাটকের ২২৪ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস-জেডিএস জোটের আসন ১১৬। সরকার গঠনের জন্য অন্তত ১১৩টি আসন পেতে হবে। তাই যদি ওই ১১ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই জোট সরকার ভেঙে পড়বে। গত বছর মে মাসে জোট গঠন করে কর্ণাটকের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু শুরু থেকেই জোটের মধ্যে বিদ্রোহ এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে।

মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি দিনেশ গুন্ডু রাওও এখন রাজ্যে নেই। তবে তিনি বিধায়কদের পদত্যাগের খবর শুনে দ্রুত ব্যাঙ্গালুরুর পথে রওনা হয়েছেন বলে জানায় এনডিটিভি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close