আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ জুলাই, ২০১৯

যুদ্ধবিরতির আহ্বান

লিবিয়ায় হতাহত হাজার ছাড়িয়েছে

লিবিয়ার বিদ্যমান সংঘাতে গত তিন মাসে দেশটিতে প্রায় ৬ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। আহত হয়েছেন আরো ৫ হাজার মানুষ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ত্রিপোলির একটি অভিবাসী বন্দিশিবিরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত হাফতার বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয় ৪৪ জন। ওই ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা এমন আভাস দিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

গত শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে গত মঙ্গলবারের হামলার নিন্দা জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জীবন-যাপনের মানের দিকে থেকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার শিকার হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় চুক্তির সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ-এর কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশির ভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ-এর দখলে। গত এপ্রিল থেকে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close