আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ জুলাই, ২০১৯

ভারী বৃষ্টিপাতে ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির : জাতিসংঘ

টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের ২৭৩টি আশ্রয়স্থল নষ্ট হয়ে গেছে আর আহত হয়েছে ১১ জন। গত শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য জানিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলি জানিয়েছেন, শিবির এলাকায় আরো বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। ঘণবসতিপূর্ণ এসব শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সময় অবর্ণনীয় হয়ে ওঠে।

গত শুক্রবার ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলি জানান, বিগত ৭২ ঘণ্টায় শিবির এলাকায় সাড়ে ৩৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরো বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা জানান তিনি। ইয়াক্সলি সতর্ক করে দিয়ে জানান, আগামী চার মাস এই অঞ্চলে চলবে বৃষ্টিপাতের মৌসুম।

ইউএনএইচসিআর-এর কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক খবর অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের কারণে ২৬টি ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। জরুরি সহায়তার জন্য শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা অস্থায়ীভাবে ২ হাজার ১৩৭ জনকে সরিয়ে নিয়েছে। সতর্কামূলক ব্যবস্থা বা বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য মোতাবেক ২০১৯ সালের একশন প্ল্যান অনুযায়ী অনুযায়ী বাংলাদেশের রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় ৯২ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। তবে এর মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশের সংস্থান করা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close