আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ জুলাই, ২০১৯

‘রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানো কর্মকর্তাদের বিচারে ব্যর্থ জাতিসংঘ’

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পর বছরের পর বছর ধরে নিপীড়ন ও নিধনযজ্ঞ চালানো দেশটির কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির তদন্তকারী ইয়াংঘি লি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এরই মধ্যে পরিস্থিতি বিচারে ব্যর্থ হয়েছে। তবে মিয়ানমারে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত বরং দাবি করেছেন যেন ইয়াংঘি লিকে তার চলমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত মাসে অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানে সৃষ্ট সংকটে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা এই সংকট মোকাবিলায় ‘পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে। সংকট মোকাবিলায় তাদের ঐক্যবদ্ধ কোনো কৌশল ছিল না। এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের পর্যাপ্ত সমর্থনেরও অভাব ছিল। ইয়াংঘি লি বলেন, বিশেষ দূতের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা চলছে মানবাধিকার পরিষদে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে আখ্যা দেয়।

ইয়াংঘি লি বলেন, তারা সবাই মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি। আর এর দায়ভার মিয়ানমারের। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাদের। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারে অবস্থা করা রোহিঙ্গাদেরও অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ থেকে বাকিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।

জাতিসংঘের হিসাবে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখনো সেখানে থেকে গেছে। দ্য গার্ডিয়ানের হিসাব অনুযায়ী, রাখাইনে থাকা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close