আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ মার্চ, ২০১৯

পশুপাখির আচরণ থেকে পৃথিবীকে বোঝার চেষ্টা

পশুপাখিদের আচরণ থেকে অনেক কিছুই বুঝতে পারেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার এক বিশাল প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে পশুপাখিদের গতিপথ ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ চালাচ্ছেন। এর ফলে রোগব্যাধির প্রসারসহ নানা বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাজাখস্তানে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছিল। ‘ইকারুস’ নামের ওই প্রকল্প শুরু করতে সেখানে জার্মান বিজ্ঞানীরাও উপস্থিত ছিলেন। পক্ষী বিশেষজ্ঞ মার্টিন ভিকেলক্সি-র একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। তিনি মনে করেন, পৃথিবী পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা ঘটছে, যা সত্যি অবিশ্বাস্য এক ঘটনা।

২০১৮ সালের আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি অভিযান চলে। রুশ মহাকাশচারীরা আইএসএস-এর গায়ে বিশেষ এক অ্যান্টেনা বনিয়েছেন। এই ইকারুস-অ্যান্টেনা পৃথিবী থেকে অসংখ্য তথ্য গ্রহণ করবে। অভিনব বিষয় হলো, এক্ষেত্রে প্রাণীরা সেসব তথ্য সংগ্রহ করছে। মার্টিন ভিকেলক্সি বলেন, প্রয়োজন এমন বুদ্ধিমান সেন্সর, যা আমাদের হয়ে পৃথিবী স্ক্যান করবে। সেই কাজ প্রাণীদের থেকে কে বেশি ভালোভাবে করতে পারে?

প্রাণীরা তাদের ইন্দ্রিয় কাজে লাগিয়ে ভিন্ন মাত্রার চিত্র পায়। পৃথিবী সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তারা অতি দুর্গম প্রান্তেও পৌঁছে যেতে পারে। ভিন্ন এই ক্ষমতা কাজে লাগানোই ইকারুস প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রায় ১৬ বছরের দীর্ঘ প্রস্তুতির পর তা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের বিজ্ঞানীরা ভিকেলস্কির টিমের সঙ্গে একযোগে প্রাণীদের গতিপথ অনুসরণ করার প্রক্রিয়া নিখুঁত করে তুলেছেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা সম্ভব হচ্ছে। প্রাণীদের গায়ে লাগানো প্রেরক যন্ত্র শুধু তাদের অবস্থান জানাচ্ছে না, এর মাধ্যমে তাদের কার্যকলাপ ও পরিবেশ সম্পর্কেও মূল্যবান তথ্য পাচ্ছেন গবেষকরা। প্রত্যেক প্রজাতির প্রাণীর জন্য সেই প্রক্রিয়ায় রদবদল ঘটাতে হয়েছে।

এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অসংখ্য প্রাণীর চলাফেরা সম্পর্কে চিত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তাদের আরো স্বপ্ন রয়েছে। পক্ষী বিশেষজ্ঞ মার্টিন ভিকেলক্সি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, এবার আমাদের হাতে সত্যি বুদ্ধিমান এক সেন্সর নেটওয়ার্ক আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close