আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জিম্বাবুয়েতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে নিহত অন্তত ৩১
আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ এর আঘাতে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো প্রায় ৪০ জন। চলমান এ ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল প্রতিবেশী দেশ মোজাম্বিক ও মালাওয়িতে। গত শুক্রবার সেটি জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশটিতে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ ও দেশটির সরকারি কর্মকর্তার বলেছেন, ইদাই নামের এই ঘূর্ণিঝড়ে কবলে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই তিনটি দেশের ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর, স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও পুলিশ স্টেশন ধসে পড়েছে।
গত শনিবার দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের হতাহতদের বেশির ভাগই দেশটির পূর্ব-চিমানিমানি শহরের। নিহতদের মধ্যে দুই শিক্ষর্থী রয়েছেন আর নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৪০ জন। রয়টার্সকে চিমানিমানি শহরের সংসদ সদস্য জশুয়া স্যাকো বলেছেন, এবারের ঘূর্ণিঝড়টি ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের মতোই ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক।
সেই সঙ্গে চলমান এ দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্যাকো। জিম্বাবুয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে মোজাম্বিকের সীমান্তবর্তী শহর চিমানিমানি শহরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শস্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বিমান
বাহিনী। তবে প্রবল বাতাসের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে। সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
২০১৯ সালেই তীব্র খরার কারণে জিম্বাবুয়েতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নতুন করে এ দুর্যোগের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এ দুর্যোগে ২০১৯ সালে ৫.৩ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে।
"