আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ মার্চ, ২০১৯

পাক সীমান্তে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতের

ভারত পরপর দুই দিনে ট্যাংকবিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি পরীক্ষা চালিয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তসংলগ্ন রাজস্থান মরুভূমিতে এ পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষার সব দিক দিয়ে সফল হয়েছে বলে ভারতীয় সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। মানুষের কাঁধে বহনযোগ্য ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সংক্ষেপে এমপিএটিজিএম নামে পরিচিত। এটি ছুড়ে দেওয়ার পর আর কোনো দিক-নির্দেশনার দরকার পড়ে না। পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তুকে সরাসরি তাক করারও প্রয়োজন হয় না। ছোড়ার পর লক্ষ্যে আঘাত হানার বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায় বলে এ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ নামে ডাকা হয়। এছাড়া এটি ওজনেও হালকা।

এর প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়েছিল গত বুধবার। দ্বিতীয়টি চালানো হয় গত বৃহস্পতিবার। ভারত নিজস্বভাবে এটি তৈরি করেছে। এ ক্ষেপণাস্ত্রে বসানো আছে উচ্চবিস্ফোরণ ক্ষমতার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী বোমা বা এইচইএটি। একে সংক্ষেপে ‘হিট’ও বলা হয়। ভারতের তৈরি এমপিএটিজিএমের পাল্লা ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বলা হয়েছে। অবশ্য, এ দিয়ে আড়াই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালানো যায়।

ভারতের ভানুরে এমপিএটিজিএম নির্মাণের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড বা বিডিএল এটি স্থাপন করেছে। ২০১২ সালের মধ্যে এ কারখানায় এমপিএটিজিএমের গণ-উৎপাদন শুরু করা হবে বলে ভারতীয় সূত্র থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তান সফলভাবে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য চৌকস অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কয়েক দিনের মধ্যেই এমপিএটিজিএমের সফল পরীক্ষা চালাল ভারত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close