আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ জানুয়ারি, ২০১৯

দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল

এ বছরও বিশ্ব বড় ধরনের ভূমিকম্প, সুনামি, দাবানল, বন্যা ও বৃষ্টির দেখা পেয়েছে। মার্চে রাশিয়ায় শপিং কমপ্লেক্সে অগ্নিকা-ে নিহত হন ৬৪ জন। ২৮ মার্চ ভেনেজুয়েলার পুলিশ সদরদপ্তরে আগুনে নিহত হয় ৭৮ জন। সপ্তাহখানেক পর কানাডায় বাস ও মিনিট্রাক সংঘর্ষে জুনিয়র আইস হকি দলের খেলোয়াড়সহ ১৬ জন নিহত হয়। গুয়েতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির প্রাণঘাতী অগ্ন্যুৎপাত কেড়ে নেয় আরো ১০৯ জনের জীবন। জুনে ভেনেজুয়েলায় কারাকাসে নাইটক্লাবে পদদলনে মারা পড়ে ১৭ জন। জুলাইতে উত্তর আমেরিকাজুড়ে দেখা দেয় তীব্র তাপদাহ। একদিনেই কানাডার কুইবেকে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। গ্রিসে ভয়াবহ দাবানলে মৃত্যু হয় ৮৭ জনের। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতেও দাবানলে মৃত্যু হয় ৮৮ জনের, পুড়ে যায় প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি।

আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কেরালায় দেখা দেয় সর্বগ্রাসী বন্যা। ১০০ বছরের মধ্যে রাজ্যটিতে দেখা দেওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় মৃতের সংখ্যা তিনশ’র ঘর অতিক্রম করে। রাজস্থান আর উত্তরপ্রদেশে ধুলিঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতেও মারা পড়েন শতাধিক লোক।

সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ অগ্নিকা- ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ব্রাজিলের ২০০ বছরের পুরনো জাদুঘর। ওই মাসেই ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে ভূমিকম্প-সুনামিতে নিহত হয় দুই হাজারের বেশি মানুষ, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১০ হাজার। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মাইকেল। ফ্লোরিডার সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি শহরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এ ঝড়। ১৯ অক্টোবর ভারতের পাঞ্জাবে রাবণবধের উৎসবে ট্রেনে কাটা পড়ে ৬০ জন নিহত হয়। ২০১৮ বেশকটি বিমান দুর্ঘটনারও সাক্ষী হয়েছে। এর মধ্যে আছে মস্কোর সারাতভ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭০৩ ও জাগরোস পাহাড়ে বিধ্বস্ত হওয়া ইরানের আসেমান এয়ারলাইন্সের বিমান।

এ বছর নেপালও সাক্ষী হয় বিমান দুর্ঘটনার। নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা এবছর ঘটে যাওয়া অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনা।

এপ্রিলে আলজেরিয়ার বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় ২৫৭ জন। মে মাসে হাভানায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা পড়েন শতাধিক মানুষ। বছরের একেবারে শেষ দিকে ১৮৯ আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি অত্যাধুনিক বিমান। এর বাইরে ইতালিতে সেতু ধসে ৪৩ জনের মৃত্যু ও ২০ সেপ্টেম্বর তাঞ্জানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ায় ফেরি ডুবে ২২৮ জন নিহতের ঘটনাও বিশ্ববাসীকে নাড়া দেয়। বছরের একেবারে শেষ দিকে ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় সাড়ে চারশ জন নিহত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close