আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সৌদির গরম থেকে যেভাবে রক্ষা পান হাজিরা

সৌদি আরবের মক্কাসহ সর্বত্র অধিক তাপমাত্রার কারণে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে হজযাত্রীরা হোটেল বা বাড়ির বাইরে বের হন না। বিশেষ করে দিনের বেলা প্রচন্ড রোদের কারণে ছাতা ছাড়া বের হলে সারা শরীর গরম হাওয়ায় পুড়ে যায়! কিন্তু ব্যতিক্রম হেরেম শরিফ অর্থাৎ কাবাঘর। মক্কার সর্বত্র গরম থাকলেও কাবায় সারাক্ষণই ঠান্ডা থাকে। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কাবাঘর তাওয়াফ ও সাহি করতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই লাখো লাখো হাজির পদচারণা ও গাদাগাদি থাকলেও হেরেম শরিফের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করা মাত্রই হিমেল হাওয়ায় সারা শরীর জুড়িয়ে যায়। তাই অনেক হাজি ও মুসল্লি দিনভর হেরেম শরিফেই ইবাদত-বন্দেগি করে কাটিয়ে দেন।

হেরেম শরিফের ভেতরে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে ছাদের নিচের পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরই সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আর কাবা চত্বরে বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল আকারের ফ্যানের মাধ্যমে সারাক্ষণ পানি ছিটানো হয়। ফ্যানের ভেতরে ছোট ছোট পানির নল লাগানো থাকে। সেই নল থেকে পানি ফ্যানের বাতাসের সাহায্যে বাষ্পীয় জলের মতো কুয়াশা আকারে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে হাজিরা ঠান্ডা অনুভব করেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আল্লাহর ঘরে বিশেষ রহমত এমনি আছে, তদোপরি লাখো হাজিকে বিনা কষ্টে নামাজ পড়ার সুবিধা করে দিতে যে ধরনের কুলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সত্যিই সবার জন্য অনুসরণীয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close