আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ আগস্ট, ২০১৮

নেতৃত্ব খোয়ালেন টার্নবুল

স্কট মরিসন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী

দলের ভেতরে বিদ্রোহে প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল নেতৃত্ব হারানোর পর অর্থমন্ত্রী স্কট মরিসনকে অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারেল পার্টি।

নেতৃত্বের কোন্দলে গত কয়েক দিন ধরে নানা নাটকীয়তার মধ্যে টার্নবুলের পদ খোয়ানোর বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

শুক্রবার সকালে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটাভুটিতে ত্রিমুখী লড়াইয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত হন টার্নবুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মরিসন।

বিবিসি জানিয়েছে, লিবারেল পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের এ ভোটাভুটিতে মরিসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন টার্নবুলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে অভিবাসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়া পিটার ডাটন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। শেষ পর্যন্ত ডাটনকে ৫ ভোটে হারিয়ে দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন মরিসন।

সাম্প্রতিক উপ-নির্বাচনগুলোতে দলের বাজে ফল এবং দলের ভেতরে রক্ষণশীল অংশের বিদ্রোহে গত কয়েকটি দিন প্রবল চাপ আর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া টার্নবুল আর শুক্রবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেননি।

রয়টার্স লিখেছে, ২০১৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়র প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা টার্নবুল পদ খোয়ানোর পর পার্লামেন্টে থেকেও সরে যাওয়ার ইংগিত দিয়েছেন।

সেক্ষেত্রে তার সিডনির আসনে উপনির্বাচনের মোকাবেলা করতে হবে লিবারেল পার্টি নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে। আর ওই উপনির্বাচনে হারলে লিবারেল পার্টির এক আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর থাকবে না।

আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে জনমত জরিপে বিরোধী দলে থাকা লেবার পার্টির তুলনায় পিছিয়ে পড়তে থাকায় ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিতে টার্নবুলের ওপর চাপ বাড়ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এর মধ্যে পিটার ডাটন গত ২১ অগাস্ট দল আর সরকারে টার্নবুলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বসলে সঙ্কটের সূচনা হয়।

মঙ্গলবার দলীয় ওই ভোটে ১৩ ভোটের ব্যবধানে টার্নবুলের কাছে হেরে গিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডাটন। টার্নবুলের প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকে গেলেও তার মন্ত্রিসভার ১৩ জন সদস্য ডাটনের পথ ধরে পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে পড়ে।

দলের এই বিবাদের মধ্যে সহকর্মীদের একটি অংশের সমর্থন পেয়ে আবারও টার্নবুলকে চ্যালেঞ্জ জানান ডাটন। কিন্তু তার পাল্টায় ডাটনের পরিচালিত দুটি দাতব্য সংস্থার কর্মকা-ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন টার্নবুল। এই অবস্থায় লিবারেল পার্টির অধিকাংশ এমপি নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির দাবি জানালে তাতে সম্মতি দিতে বাধ্য হন টার্নবুল। তবে তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকেন।

বিবিসি লিখেছে, গত এক দশকের মধ্যে ম্যালকম টার্নবুলসহ অস্ট্রেলিয়ার মোট চারজন প্রধানমন্ত্রীকে নিজের দলের বিদ্রোহের কারণে পদ হারাতে হল। শুক্রবার লিবারেল পার্টির নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব ঠিক হওয়ার পর টার্নবুল বলেন, ‘মহান এই রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়া ছিল আমার জন্য বিরাট এক সুযোগ। আমি অস্ট্রেলিয়াকে ভালোবাসি, এ দেশের মানুষদের ভালোবাসি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close