আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

বাবা-মায়ের ধূমপানও সন্তানের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

বাবা-মা ধূমপায়ী হলে প্রাপ্ত বয়সে সন্তান অধূমপায়ী হওয়ার পরও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। গবেষকরা বলছেন, শৈশবে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়া প্রতি এক লাখ অধূমপায়ী প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে বছরে সাতজন ফুসফুস জনিত জটিলতায় ভুগে মারা যেতে পারে। ধূমপান করেন না এমন ৭০ হাজার ৯০০ নারী ও পুরুষ আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এ গবেষণায় অংশ নেন। তারা জীবনে কত ঘণ্টা ধূমপায়ীদের আশপাশে ছিলেন সেই তথ্য নেওয়ার পর পরবর্তী ২২ বছর ধরে তাদের স্বাস্থ্যগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শৈশবে ধূমপায়ীর সঙ্গে বসবাস করেছেন এমন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যগত জটিলতা বেশি। ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধূমপায়ীর আশপাশে যারা থাকেন তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৭ শতাংশ, স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ এবং ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪২ শতাংশে বেড়ে যায়। বাবা-মা ধূমপায়ী এমন শিশুদের হাঁপানি হতে পারে বা তাদের ফুসফুসের গঠনে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ধূমপান থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে বাবা-মায়ের ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। ‘আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষকদের একজন ডা. রিয়ান ডাইভার বলেন, শৈশবে ধূমপায়ীর সঙ্গে বসবাস থেকে পরোক্ষ ধূমপায়ী এবং মাঝ বয়স বা তার পরে ফুসফুসের রোগে ভোগার সম্পর্ক নিয়ে এটিই প্রথম গবেষণা। আমাদের গবেষণা পরোক্ষ ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে আরো প্রমাণ দেবে। যা পরোক্ষ ধূমপান হ্রাসে সহায়তা করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close