আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গর্ভবতী মাকে ভায়াগ্রা
প্রাণ গেল ১১ নবজাতকের
গর্ভাবস্থায় ভায়াগ্রা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জেরে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১১টি নবজাতক শিশু। নেদারল্যান্ডসে একটি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এসব নারীদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। শিশুদের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে এ পরীক্ষা নিরীক্ষা। মূলত দুর্বল ভ্রƒণের শিশুদের বেড়ে ওঠার উন্নতি ঘটাতেই ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেখা গেছে ওষুধটি দেওয়ার পর রক্ত প্রবাহ বেড়ে ওই শিশুদের ফুসফুসের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে কী ঘটেছে সেটি জানতে বিস্তারিত তদন্তের দরকার। সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়েছে কি না, তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এ ধরনের পরীক্ষার সম্ভাব্য ক্ষতির কোনো প্রমাণ পায়নি। কিন্তু তারা কোনো সফলতাও পায়নি। তবে সে সময় ২০১০ সালে গবেষকরা বলেছিলেন এ চিকিৎসা শুধুমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই প্রয়োগ করতে। গর্ভবতী ভ্রƒণ বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা একটি গুরুতর অবস্থা যার বর্তমানে কোনো চিকিৎসা নেই। এর ফলে অনেক অপরিপক্ব শিশুর জন্ম হয়। যাদের ওজন থাকে খুব কম ও তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও হয় অনেক কম। ওষুধই হতে পারে একটি উপায় যাতে করে এসব অসুস্থ শিশুর জন্ম নেয়ার সময় প্রলম্বিত করা যায় বা ওজনের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো যায়। সর্বশেষ সমীক্ষায় কী হয়েছে : সর্বশেষ ডাচ্ সমীক্ষাটি চলার কথা ২০২০ সাল পর্যন্ত।
আমস্টার্ডম ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারসহ নেদারল্যান্ডসের ১১টি হাসপাতালে এটি চলার কথা। মোট ৯৩ জন নারীকে সøাইডনাফিল (ভায়াগ্রার একটি নন-ব্রান্ড নাম) আর ৯০ জনকে ‘ডামি ড্রাগ’ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিশটি শিশুর ফুসফুস সমস্যা দেখা দেয় জন্মের পর যার ১৭ জনের মাকেই সøাইডনাফিল দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই ১১টি শিশুর মৃত্যু হয় ফুসফুস জটিলতায়। ডাচ সমীক্ষার এমন ফল কে অপ্রত্যাশিত বলেছেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুল ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক যারকো আলফায়ারভিচ। তিনি বলেন, আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। একটা বিস্তারিত তদন্তও দরকার কারণ জটিলতাগুলো দুজনের মধ্যে দেখা যায়নি।
"