আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘বাণিজ্যযুদ্ধে’ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অর্থ সহায়তার প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের
চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় ১২ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রশাসন। মন্দায় আক্রান্তদের সহায়তার জন্য রাখা তহবিল থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। কমোডিটি ক্রেডিট কর্পোরেশনের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দের এ পরিকল্পনায় কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন কৃষিমন্ত্রী সনি পারডু। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। দেশে-বিদেশে এ নিয়ে চাপের মুখে থাকা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট যে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত আমদানির ওপর দেওয়া বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার পথ থেকে সরছেন না, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও ভাষ্য তাদের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টায় চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তাতে মার্কিন কৃষকরা বিপাকে পড়ছেন বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।
সেজন্য নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই কৃষকদের সমর্থন নিশ্চিত করতে ট্রাম্প দ্রুত এ ক্ষতিপূরণের পথে হাঁটলেন বলে ধারণা রয়টার্সের। মার্কিন প্রশাসনের সাম্প্রতিক এ রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতি বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুর্গম ও কৃষিনির্ভর এলাকাগুলো থেকেই ট্রাম্প বেশি ভোট আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। মঙ্গলবার কানসাসের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতাতেও ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর দেওয়া বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পক্ষে দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, তার এ পদক্ষেপ ‘কৃষকদেরই বেশি লাভবান করবে’। প্রস্তাবিত এ ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে চীন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ মোকাবেলায় ট্রাম্প পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলেও মনে করছেন কর্মকর্তারা। মার্কিন কৃষিমন্ত্রী সনি পারডু বলেন, এটা অবশ্যই সাময়িক সমাধান, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য নীতি ঠিক করতে কাজ করার সময় দেবে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত তার দলের অধিকাংশ আইনপ্রণেতাকে খুশি করলেও কৃষকদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যায়ের নীতিকে মেনে নিতে পারছেন না অনেক রিপাবলিকানই।
"