আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামানো হবে না
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার দেশে চলা রক্তক্ষয়ী মাদকবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, তার মেয়াদের প্রথম দুই বছরের মতোই ‘অবিরাম ও ভয়ঙ্কর’ মাত্রায় মাদকবিরোধী লড়াই চলবে।
২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ চার হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। পুলিশের দাবি, তাদের গ্রেফতার করতে গেলে তারা পাল্টাহামলা চালিয়েছে। আন্দোলন কর্মীদের অভিযোগ, নিহতদের অনেককে ধরে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ফিলিপাইনের একজন আইনজীবী দুয়ার্তেসহ সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘অপরাধীদের হত্যাকে নীতি’ হিসেবে গ্রহণের অভিযোগ তোলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি’র কৌঁসুলি ফাতাও বেনসুদা এই অভিযোগের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করার ঘোষণাও দেন। এরপরও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন দুতের্তে।
সোমবার পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে দুতের্তে বলেন, ফিলিপাইনে ‘মাদকবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার অনেক দেরি রয়েছে’। এই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাই মানবাধিকার কর্মীরা এভাবে অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে তাদের এই দাবি নাকচ করে দেন দুয়ার্তে। তিনি বলেন, ‘অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামানো হবে না। বরং আপনারা যদি চান তাহলে তা প্রথম দিনের চেয়ে আরো অবিরাম ও জোরদার করা হবে।’
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এমন রক্তক্ষয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সবচেয়ে দরিদ্র সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মাদকসেবীকে কৌশলগত হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
মাদকের কারণে অনেক পরিবার ধ্বংস হচ্ছে জানিয়ে অভিযানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে দুয়ার্তে বলেন, ‘আপনারা মানবাধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন আর আমি মানুষের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন’। সোমবার ?দুয়ার্তে পূর্ব নির্ধারিত ৫০ মিনিটের বক্তব্য দেন। তিনি আগামী দুইদিনের মধ্যে একটি আইন অনুমোদনের কথা জানান। এর মাধ্যমে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমরা নিজস্ব শাসন চালু করার সুযোগ পাবে। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ও তাদের সহযোগী লেভান্তের প্রভাব ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
"