আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তাপপ্রবাহকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা জাপানের
গত সপ্তাহে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করেছে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। বিভাগের এক মুখপাত্র বলেছেন কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা অভাবনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাপানের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২২ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এর মধ্যে অর্ধেকই বয়স্ক নাগরিক। শিগগিরই এই তাপদাহ কমারও পূর্বাভাস দিতে পারছে না আবহাওয়া বিভাগ। তাপদাহের কারণে দেশজুড়ে সুইমিং পুলগুলো খুলে দিয়েছে জাপান। গত সোমবার বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলের শহর কুমাগাওয়ার তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জাপানে রেকর্ড হওয়া তাপমাত্রার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় টোকিওতেও প্রথমবারের মতো ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৩৫ ডিগ্রি বার তারও বেশি তাপমাত্রা চলতে পারে। আবহাওয়া বিভাগের মুখপাত্র মোটোয়াকি তাকিকাওয়া বলেছেন, কোনো কোনো এলাকায় আমরা অভাবনীয় পর্যায়ের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করেছি। এই তাপপ্রবাহ জীবেনের ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে আর আমরা একে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘোষণা দিয়েছি।
গত কয়েক দিনে টোকিওর উত্তরাঞ্চলীয় ইবারাকি এলাকায় ৯১ বছর বয়সী এক নারী হঠাৎ করে মাঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। কাছের সাইতামা এলাকার দুই নারীকে নিজেদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জাপানের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিদি সুগা বলেছেন, জনগণকে রক্ষায় গ্রীষ্মকালীন ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় স্কুলশিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। হঠাৎ বর্ষণে কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি নষ্ট হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে জাপান।
"