আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ জুলাই, ২০১৮

জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনের অর্ধেকই উধাও

জার্মানির ফেডারেল পুলিশের একটি প্রতিবেদন বলছে, দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন বাতিলের হার ১৭ ভাগ হলেও প্রকৃত দেশে ফেরত গেছেন অনেক কমসংখ্যক মানুষ। এদিকে, শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, অনেককে ভুলবশত ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রাববার স্থানীয় একটি পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারি হয়েছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি জনকে ফেরত পাঠানো যায়নি?

ডি ভেল্ট নামের ওই পত্রিকার হিসাব বলছে, এই পাঁচ মাসে প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে ফেরত গেছেন মাত্র ১১ হাজার। ১২ হাজার ৮০০ জনকে ফেরত পাঠানো যায়নি, তাদের ১১ হাজার ৫০০ জনকেই যেদিন প্রত্যাবাসনের কথা ছিল সেদিন তাদের ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এদের অনেকেই পালিয়ে গেছেন। তবে বাকি ১ হাজার ৩০০ জনকে নানা প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে ফেরত পাঠানো যায়নি বলে রিপোর্টে বলেছে পত্রিকাটি। সবচেয়ে বেশি নাইজেরিয়া ও গিনির লোকেরা (৬০ ভাগেরও বেশি) দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া ৫০ ভাগ সোমালিয় ও ৪০ ভাগ সিরীয় নাগরিক ফেরত যেতে চাচ্ছেন না। এছাড়া সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া, মরক্কো, ইরাক ও ইরিত্রিয়ার নাগরিকদেরও ৩০ ভাগ রয়েছেন এই তালিকায়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে খুশি নয় ফেডারেল পুলিশ। তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ফেডারেল পুলিশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এয়ার্নস্ট ভাল্টার বলেন, ফেডারেল পুলিশ অনেক পরিশ্রম করে প্রত্যেককে চিহ্নিত করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানাচ্ছে। তিনি মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসনকে প্রত্যাবাসন আইনের আরো কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

তবে শ্রমমন্ত্রী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নেতা হুবার্টুস হাইল এই জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। তার মতে, অনেক শরণার্থী বেশ ভালোভাবেই জার্মান সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। প্রত্যাবাসনের তালিকায় তাদের নামও আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist