আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে নিখোঁজ ১৮০
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় টোবা হ্রদে ডুবে যাওয়া ফেরিটির নিখোঁজ যাত্রীদের সংখ্যা ১৮০ জন বলে জানিয়েছে দেশটির তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা। এর আগে ওই ফেরি ডুবির ঘটনায় অন্তত ১২৮ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানিয়েছিলেন ওই সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তা। বুধবার সংস্থাটির আরেক কর্মকর্তা নিখোঁজ যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার এই খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
প্রাচীন আগ্নেয়গিরির খাদে তৈরি হওয়া বিশাল ওই হ্রদটিতে দুই দিন আগে সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে ফেরিটি ডুবে যায়। এতে যে সংখ্যক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে এখন বলা হচ্ছে তা কাঠের তৈরি পর্যটকবাহী ওই ফেরিটির ধারণক্ষমতার তিনগুণ। যাদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। মঙ্গলবার নিকটবর্তী মেদান শহরে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের এক বৈঠকের পর তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা বুদিয়াওয়ান বলেন, অনেক লোক তাদের স্বজন নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পরপরই ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, আর ওইদিন সন্ধ্যায় দুইজনের লাশ পাওয়া যায়। বুধবার উদ্ধার কাজে ডুবুরিদের পাশাপাশি পানির নিচে কাজ করতে সক্ষম ড্রোনও নামানো হয়েছে।
এদিন সকালে আরো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেরিটির নিখোঁজ যাত্রীদের কান্নারত উৎকণ্ঠিত স্বজনরা টোবা হ্রদের টিগারাস বন্দরের কাছে জড়ো হয়ে তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন।
দেড় হাজার ফুট গভীর ওই হ্রদটির কোনো একটি অংশে ফেরিটি ডুবে আছে এবং তার মধ্যে অনেক নিখোঁজের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
প্রায় ৭৫ হাজার বছর আগে বিশাল একটি আগ্নেয়গিরির ব্যাপক উদ্গীরণের পর ভূমিকম্পের মতো কোনো ঘটনার ফলে ১ হাজার ১৪৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশাল এই টোবা হ্রদটি তৈরি হয়েছিল। হ্রদটি ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
"