আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কারাবন্দি আনোয়ার কি মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী?
মালয়েশিয়ার রাজা দেশটির কারাবন্দি নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানান নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির শনিবারের মধ্যে অর্থ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যের নাম ঘোষণার কথাও জানিয়েছেন।
রাজার ক্ষমা পেলে আনোয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এবং মাহাথিরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনিই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আগামী মাসে আনোয়ার মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্টীয় তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা নাজিব রাজাককে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারের সঙ্গে জোট বেধে নির্বাচন করেন মাহাথির।
২২ বছর মালয়েশিয়া শাসনের পর দেড়যুগ আগে বয়সের কারণে রাজনীতিকে বিদায় জানানো মাহাথির দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারও রাজনীতিতে ফেরেন।
গত বুধবারের জাতীয় নির্বাচনে মাহাথির-আনোয়ার জোট পাকাতান হারাপান (অ্যালায়েন্স অব হোপ) পার্লামেন্টের ২২২ আসনের মধ্যে ১১৩টি জয় পেয়ে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। নাজিবের মালয়েশিয়ান বারিসান ন্যাসিওনাল (বিএন) জোট ৭৯টি আসন ধরে রাখতে পেরেছে।
নির্বাচনে জয়লাভ করলে নিজের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারকে কারামুক্তির আবেদন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহাথির।
বৃহস্পতিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ৯২ বছরের এ নেতা নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন জানিয়ে বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে আনোয়ারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করবেন। অথচ ২০০৪ সালে মাহাথিরই সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আনোয়ারকে উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। ছয় বছর কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া আনোয়ারকে ২০১৫ সালে আবারও একই অভিযোগে কারাগারে পাঠান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব।
২০ বছর আগে মাহাথিরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পাকাতান হারাপান আন্দোলন শুরু করেছিলেন আনোয়ার।
অথচ মাহাথির-আনোয়ার জোটই শেষ পর্যন্ত দেশটির রাজনীতির ইতিহাস পাল্টে দিলেন।
"